আলোকিত প্রতিবেদক: অমর একুশে বইমেলায় অন্যান্য বছর প্যাভিলিয়ন পেলেও এবার প্যাভিলিয়ন দেওয়া হচ্ছে না বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থাকেও। জানা গেছে, প্রকাশকদের একটি অংশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা একাডেমি। যাদের প্যাভিলিয়ন দেওয়া হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
নির্দিষ্ট প্রকাশকদের প্যাভিলিয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
বইমেলার স্টল বরাদ্দের জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃক একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। এতে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রকাশকদের প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন।
অন্যপ্রকাশ, আগামী প্রকাশনী ও অনুপম প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন ছোট করার সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে।
গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত কয়েকটি প্রকাশক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই প্রকাশনীগুলোকে ‘স্বৈরাচারের দোসর প্রকাশক’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বইমেলায় নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গতকালের সভায় বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সরকার আমিন, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হান, প্রকাশক প্রতিনিধি সাঈদ বারী, মো. গফুর হোসেন, আবুল বাশার ফিরোজ, আরিফুর রহমান নাইম, মাহবুব রাহমান, মো. জহির দীপ্তি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান বলেন, ‘এটা আমাদের একার না, সাধারণ প্রকাশকদের বিজয়। এ জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, ‘প্রকাশকদের প্রাণের দাবি, স্টল ভাড়া অর্ধেক কমানোর ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সুতরাং আমাদের সবাইকে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্যাভিলিয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো বাংলা একাডেমি জানায়নি জানিয়ে সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘প্যাভিলিয়ন না দিলে বাংলা একাডেমির ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত, কোন কারণে তারা প্যাভিলিয়ন পাচ্ছেন না। কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর বললে প্রমাণ দিতে হবে, সরকারের কোনো লাভজনক কাজে সেই প্রকাশক ছিল।’
ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আমার ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারি, আমার সময় প্রকাশন, আমি কখনো কোনো দিন সরকারের কোনো লাভজনক পদে ছিলাম না। এবারের বইমেলা আমার ছত্তিশতম বইমেলা হবে, এর আগে আমি পঁয়ত্রিশটি বইমেলা করেছি। এর মধ্যে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়বার সরকার বদল হয়েছে, কোনো সরকার কখনো এই রকম কথা বলেনি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি