শিবালয়ে অধ্যক্ষের অনিয়মে তদন্তের নির্দেশ

0
173
শিবালয়ে অধ্যক্ষের অনিয়মে তদন্তের নির্দেশ
শিবালয়ে অধ্যক্ষের অনিয়মে তদন্তের নির্দেশ

মিজানুর রহমান খান কুদরত :

মানিকগঞ্জের শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ ড.বাসুদেব দে শিকদারের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারিদের অভিযোগ, কলেজের আয়-ব্যয়ের  হিসাব অনিয়মের কারণে তাদের ১৯ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পর শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অদক্ষের বিরুদ্ধে  কলেজের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় চরম অস্বচ্ছতা, অতিরিক্ত ব্যয়ের নামে অর্থ আত্মসাৎ এবং অপ্রকাশিত আয়-ব্যয়ের নথি। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৯৮ সালে এমপিওভুক্ত হওয়া এই কলেজে ২০১০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ড. বাসুদেব। তাঁর নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রতিটি শিক্ষক-কর্মচারির নিয়োগে অনিয়ম এবং আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।শিক্ষক-কর্মচারিদের অভিযোগ, ৩ হাজার শিক্ষার্থী এবং পর্যাপ্ত আয়ের উৎস থাকা সত্ত্বেও গত পাঁচ বছরে বেতন বকেয়া থাকার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তারা জানান, কলেজ ফান্ড থেকে ব্যক্তিগত কাজে অর্থ ব্যয়, কাঁচা ভাউচার দেখিয়ে বরাদ্দ আত্মসাৎ এবং নীতিমালার বাইরে খণ্ডকালীন নিয়োগের মতো অনিয়ম করেছেন অধ্যক্ষ।

শিক্ষক-কর্মচারিরদের দাবী দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধ করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কলেজের আয় ব্যয় হিসাব নিকাশের স্বচ্ছতা এনে শিক্ষার পরিবেশ সুরক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. বাসুদেব দে শিকদার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “কলেজের মাসিক আয় ও ব্যয়ের ব্যবধানের কারণে বেতন বকেয়া রয়েছে। অতিরিক্ত কোনো ভাউচারে ব্যয় করা হয়নি।”

এদিকে, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। “তদন্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/১৩জানুয়ারি-২৫/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here