আব্দুল মান্নান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করে দেওয়ায় একেবারে কমে এসেছে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এর মধ্যে ভারত কিছু ভিসা দিলেও নানান শর্তের বেড়াজালে বেনাপোল বন্দরেই আগের বছরের চেয়ে গত বছর যাতায়াত কমেছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৩ জন। অ
পরদিকে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা পর্যটন নির্ভর দেশ থাইল্যান্ড। সাদা বালির সমুদ্র সৈকত, রাতের প্রাণবন্ত শহর, বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা একসাথে পেতে সেখানে ছুটেন ভ্রমণ পিপাসুরা। হানিমুনের জন্য ব্যাংকক, ফুকেট বা পাতায়া থাকে নবদম্পতিদের পছন্দের শীর্ষে। খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় বাংলাদেশিরাও বেছে নিচ্ছেন এই দেশ।
গত ৭ জানুয়ারি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গেছে ১ হাজার ২২ জন পাসপোর্টধারী। এঁদের মধ্যে ৭০৮ জন বাংলাদেশি, ৩১৩ জন ভারতীয় ও অন্য দেশের ছিল ২ জন। ভারতীয় ভিসা প্রতিবন্ধকতায় ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই দেশেরই ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনশিল্প। এ পরিস্থিতি উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ভুক্তভোগীদের।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া জানান, ভিসা বন্ধে যাতায়াত কমেছে পাসপোর্টধারীদের। গেল বছর ২০২৪ সালে বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৩ জন পাসপোর্টধারী। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ১১০ জন; ভারতীয় ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪১৩ জন এবং অন্যান্য দেশের যাত্রী ২ হাজার ৪৯০ জন। এর আগে ২০২৩ সালে মোট যাতায়াত করেছে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩১ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ২১৫ জন; ভারতীয় ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬০০ জন এবং অন্যান্য দেশের যাত্রী ২ হাজার ৭১৬ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এসে পাসপোর্টধারী যাতায়াত কমেছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৩ জন।
এখন থেকে থাইল্যান্ডের ভিসা পাওয়া আরও সহজ হচ্ছে। আগে যেখানে অপেক্ষা করতে হতো এক থেকে দেড় মাস এখন মাত্র ১০ দিনেই পাওয়া যাবে ভিসা। মোট ছয় ধাপে অনলাইনেই করা যাবে ভিসা আবেদন। www.thaievisa.go.th/ এই ঠিকানায় অ্যাকাউন্ট খুলে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে প্রথমে। পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। সবশেষে অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে ভিসা ফি। এতে মাত্র ১০ কার্য দিবসের মধ্যেই ভিসা পাওয়া যাবে। মোটামুটি দুই সপ্তাহের মধ্যে ইমেইলে চলে আসবে কনফার্মেশন ডকুমেন্টস। ভিসার অনুলিপি প্রিন্ট করে থাইল্যান্ডে প্রবেশের সময় দেখাতে হবে ইমিগ্রেশনে।
তবে থাইল্যান্ড ট্যুরের প্ল্যান থাকলে প্লেনের টিকেটের দিকে নজর রাখুন হাতে সময় রেখে। থাইল্যান্ডের নিজস্ব সংস্কৃতিতে অতিথি আপ্যায়ন আর বিচিত্র সব বিনোদনের জন্য পর্যটকদের আনন্দে সময় কাটানোর সব মাধ্যম একসাথে আছে সেখানে।