বাবা নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিলেন :ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি

0
123
বাবা নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিলেন :ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি
বাবা নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিলেন :ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি

নাজমুল হাসান:

আমার বাবা এই দেবিদ্বারের রাজনৈতিক মাঠে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত নেতা। তিনি দীর্ঘ স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২২ মাস কারাবরণ করেন এবং ২৮ টি মামলা রয়েছে আমার বাবা সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীরর বিরুদ্ধে। এমনকি আমার বাবাকে চোখ ও হাত বেঁধে অপমান করার জন্য জিপের ত্রিপল খুলে প্রকাশ্যে জনসম্মূখে ঘুরিয়ে ছিলেন।

 ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে বক্তব্যদানকালে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি এমন বক্তব্য তুলে ধরেন।

পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং যুবদল নেতা আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার আসনের) ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সী, বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় কমিটির সদস্য ও বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জু মূন্সী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে-বাংলাদেশ আর কোন দিন স্বাধীন হতনা, আর ওই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করল ১৫ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দোসররা দেবিদ্বারের মাটিতে মানুষকে বিনা কারণে নির্যাতন করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আজ দেবিদ্বারের মানুষ যে ভালোবাসা দেখিয়েছে তা আমি কখনো ভুলবো না এবং আমি ঋণী হয়ে গেলাম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ভুলু পাঠান, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুফিয়া বেগম, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম সরকার, সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুলতান কবীর আহমেদ খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাজ উদ্দিন সাজু চেয়ারম্যান প্রমূখ।

দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা নেতাকর্মীরা বেলা ২ টা থেকে ফ্যাষ্টুন, ব্যানার, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে উপস্থিত হতে শুরু করে। স্লোগান দিতে থাকে “দেবিদ্বারের মাটি, মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর ঘাটি, ধানের শীষের ঘাটি” মিছিলে মিছিলে হাজার হাজার নেতা- কর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় সম্মেলন স্থল।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি-২৫/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here