পাহাড়ে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ 

0
87
পাহাড়ে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ 
পাহাড়ে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ 
এমএইচ চৌধুরীঃ
পাহাড়ি-বাঙালী দ্বন্দ্ব নিরসনে সকল জাতিসত্তাকে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন পাহাড়ি ছাত্র নেতা।
১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাহাড়ি-বাঙালী দ্বন্দ্ব নিরসনে সকল জাতিসত্তাকে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র নেতা ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক বলেন, ৫৩ বছর ধরে চলা পাহাড়ি-বাঙালী সংঘাত, পাহাড়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি, অপহরণ, গুম,খুন, চাঁদাবাজি সবেই হয় ভারতের প্রত্যেক ও পরোক্ষ মদদে। তাদের এমন নীতির মূল উদ্দোশ্য পাহাড়’কে অশান্ত করে সরকার’কে চাপে ফেলে তাদের স্বার্থ আদায় করা। পুরো বাংলাদেশের আয়তন থেকে এক দশমাংশ অঞ্চল জুড়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ভারত ও মায়ানমারের সাথে লাগোয়া হওয়ায় অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে অনায়াসে আসা যাওয়া করে দুই দেশের নাগরিক, অবৈধ চোরা চালান, মাদক,অস্ত্র এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। “তাদের আর বাড়তে দেওয়া যাবে না”। বিগত সরকার গুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন (১৯০০ শাসন বিধি, ব্রিটিশ আইন) পরিবর্তন না করায় দ্বৈত আইন চলমান থাকায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় সাধারণ জনগণ।”স্বাধীন স্বার্বভোম এক দেশে দুই নীতি চলতে পারে না”। পাহাড়ে বসবাসরত সকল জাতিসত্তার নাগরিকের জন্য ভূমি অধিকার দিয়ে বাংলাদেশের ভূমি আইন সংস্কার করতে হবে এবং বাংলাদেশে সকল নাগরিক’কে বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে স্ব স্ব জাতির নাম উল্লেখ করে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ভারতের ষড়যন্ত্রে শেখ মুজিবুর রহমান এই পাহাড়কে অস্থিতিশীল করার জন্য পাহাড়ে বসবাসরত জাতিসত্বা গুলোকে বাঙালি হয়ে বসবাসের কথা বললে শুরু হয় বিভিন্ন গ্রুপিং। জেএসএস নামে একটি সংগঠন থাকলেও বিভাজনের রাজনীতি গুণে ধরে তৈরি হয় জেএসএস মানবেন্দ্র, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিভ ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসীত বিকাশ খীসা, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক, মগ লিবারেশন আর্মি, মগ পার্টি, মুরং ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি), কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)সহ বহু সংগঠন। পরবর্তীতে তারই সূত্র ধরে পাহাড়ে সংঘাত শুরু হয়। এই সংঘাত স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও নিরসনে কোন সরকার কাজ করেনি। ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্ত করতে পাহাড়ি-বাঙালীর মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন দৃঢ় করার জন্য এই বিপ্লবী সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সাবেক ছাত্রনেতা আবু তৈয়ব হাবিলদার বলেন, পাহাড়ের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চিরস্থায়ী সমাধানে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এসময় অধিকার পরিষদের তরুন প্রজন্মের আইকন তারেক সহ বেশ কয়েকজন পাহাড়ে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি-২৫/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here