সাদ্দাম হোসেন, ঝিনাইগাতী : শেরপুরের ঝিনাইগাতী অবৈধ বালুর গাড়ি আটক করায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা ইউএনও অফিস ঘেড়াও ও রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যায় অবৈধ বালু লুটপাট বন্ধের অভিযানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অনিন্দা রানী ভৌমিক উপজেলা সদরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামন থেকে অবৈধ বালু ভর্তি একটি মাহিন্দ্র আটক করে। এ সময় অবৈধভাবে বালু লুটপাটের সাথে জরিত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের করে সাজা দেন
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ আরমান (৩৮), ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্ধভাটপাড়া গ্রামের হেলাল (৩০), রামেরকুড়া গ্রামের হজরত (২৮), বারোয়ারী গ্রামের আজিমউদ্দিন (৩১) ও শ্রীবরদী উপজেলার চরিয়াপাড়া গ্রামের মনিরাজ (২৫)। মাসুদ আরমান ঝিনাইগাতী বাজারের আলী আকবরের ছেলে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রাণী ভৌমিক গতকাল রাতে মাসুদ আরমানকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা এবং অন্য ৪ জনকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এঘটনাকে কেন্দ্র অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলা পরিষদ ঘেড়াও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ-সময় অবৈধ বালু লুটপাটকারিরা উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ১ ঘন্টার উপরে সড়ক ইউএনও অফিস অবরোধ করে রাখে। অবৈধ বালু লুটপাটকারিদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শ্রমিকদল নেতা মাসুদ আরমান ও শাহীন ড্রাইভার।
বিক্ষোভকারিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও স্থানীয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। থানা পুলিশ ও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে গতবছরের ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে গারো পাহাড় থেকে অবৈধভাবে বালু লুটপাটে মেতে উঠে ওই বালু খেকোরা।
এ বিষয়ে শ্রমিকদল নেতা মাসুদ আরমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার বালুর বৈধ কাগজ থাকার পরেও উপজেলা প্রশাসন বালুর গাড়ি আটক ও শ্রমিকদের সাজা দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অবৈধ বালুর গাড়ি আটক ও শ্রমিকদের সাজা দেয়া হলে অবৈধ বালু লুটপাটকারিরা আটককুত বালুর গাড়ি ও শ্রমিকদের ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্য ইউএনও অফিস ঘেড়াও ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে যে কোন মুহূর্তে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি