স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র-জনতার হাতে নারী সহকর্মীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দফা-রফার মাধ্যমে ছাড়া পান তারা। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে শহরের চাঁন্দা সিনেমা হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদ তার কার্যালয়ের এক নারী কর্মীকে নিয়ে শহরের চাঁন্দা হল এলাকার একটি বাসায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল। সেসময় স্থানীয় ছাত্র-জনতা তাদের আটক করে। তখন নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক মোটা অংকের টাকা দিয়ে দফারফা করে।ঝিনাইদহ পৌরসভায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।পৌর প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার হিজলের আমলে ঝিনাইদহ পৌরসভা পরিচালনা করতেন যে ত্রিরত্ন। সাবেক মেয়র সাহেবের অগচরে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। এখনো তাদের অপকর্ম চলমান। ধরা পড়ছে টাকার বিনিময়ে রক্ষাও পাচ্ছে। ঝিনাইদহ শহীদ মশিউর রহমান সড়কে জাহেদী ফাউন্ডেশনের জবেদা খাতুন একাডেমি নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অল্প দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যরতদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বেশ সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের অবিভাবকগণ তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে চিন্তামুক্ত হয়েছেন।কিন্তু সাবেক মেয়রের শ্যালক জবেদা খাতুন একাডেমির একজন শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় প্রতিষ্ঠানটি যত দ্রুত সুনাম অর্জন করেছে তার থেকে বেশি দ্রুত দূর্নামের তালিকায় নাম উঠছে বলে অভিভাবকেরা মনে করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা অবিভাবক বলেন, ” আমি আমার শ্বাশুড়িকে মেডিপ্লাস পেথলজিতে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দেখি জবেদা খাতুন একাডেমির একজন শিক্ষিকা নাঈমকে এমন ভাবে সেবা করছে, যা সাধারনত স্ত্রী স্বামীকে করে।এই অবস্থা দেখে একজন ভদ্রলোক শিক্ষিকাকে জিজ্ঞেস করলেন, “উনি কি আপনার বাড়িওয়ালা?” শিক্ষিকা উত্তর দিলেন, “না, উনি আমার পরিচিত।” এই কথা শুনে কয়েকজন ছেলে যে মন্তব্য করল তা বলা যায় না। তখন রাত ৯টা বাজে। অবিবাহিত মেয়ে শুধুমাত্র পরিচিত মানুষের সেবা করতে রাত ৯টায় আসা কতটা সমীচীন।” গত ১৬/১০/২৪ তারিখে ধরা পড়লে নাঈমের কাছে জানতে চাওয়া হয় একজন মানুষের একধিক স্ত্রী থাকতেই পারে তাহলে আপনি কেন তাকে বিয়ে করছেন না , ” জবাবে নাঈন বলেন আমার স্ত্রী সন্তান আছে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের আরেকজন অবিভাবকের বলেন, “চরিত্রহীন পুরুষ কিংবা মহিলা অন্য যেকোনো পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারে।কিন্তু শিক্ষা পেশায় থাকাটা আমি মনে করি ঠিক না।”আলোকিত প্রতিদিন/এপি