বসুরহাটে যে কারণে আলোচনার শীর্ষে পৌর বিএনপি নেতা লিটন

0
249

মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম: কেন্দ্রীয় থেকে একেবারে তৃণমুল। জেলা-উপজেলায়ও রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। ওদিকে ছাত্র জীবন থেকেই তুখোড় ছাত্রনেতাও। কর্মগুণে সবকিছুই খুব অল্প সময়ে যার খ্যাতি লাভ। পুরস্কার স্বরুপ পরবর্তীতে বিএনপি’র সভাপতির পদবীও অর্জন। বিগত সময়ে বেশকিছু মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। তবুও বিএনপি’র হাল ছেড়ে দেননি। বরাবরেই দলের জন্য নিবেদিত ছিলেন। এমনই একজন বিএনপি নেতা আবদুল মতিন লিটন। যাকে ঘিরে নেতা-কর্মীরাও আছেন ঐক্যবদ্ধ। এই নেতাকেই দলের অনেকেই এখন মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। এজন্য এখন থেকেই তাদের কাজও চলছে। বেশকিছু দলীয় নেতা-কর্মীর মুখে তাঁকে ঘিরেই আলোচনা চলছে। রোববার বসুরহাটে সরজমিনে জানাগেছে এসব তথ্য।

প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের একান্ত বিশ্বস্থ ছিলেন আবদুল মতিন লিটন। এজন্য এলাকায় দলকে সু-সংগঠিত করার জন্য তখন অনেকগুলো সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ওই দায়িত্ব পালনে তিনি সফলও হয়েছিলেন। এজন্য কেন্দ্রীয় ছাড়াও নোয়াখালী জেলার নেতৃবৃন্দরা তাঁকে ম্যাজিকের মতই হৃদয়ে স্থান করে নেন। সিনিয়র নেতাদের সেই মর্যাদা ধরে রাখার জন্য বিগত সময়ে বসুরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মতে কাজ করেছেন আবদুল মতিন লিটন। ফলে পৌর এলাকায় নেতা-কর্মীদের কাছে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে দ্রুত স্বীকৃতি পান তিনি।

দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, বিগত ১৭ বছরে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁর উপর আ’লীগ কর্তৃক হামলা-মামলা হয়েছে ডজনের বেশি। এরআগে ১/১১ এর সময় বসুরহাটে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছিল। কারাগারেও ছিলেন কিছুদিন। জামিনের পর অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা নিতে হয়েছিল অনেক দিন। এসব দমন পীড়নের পরেও নেতা-কর্মীদের ছেড়ে যাননি তিনি। বরং শক্ত হাতে দলের হাল ধরে রেখেছেন। এজন্য দলের নেতা-কর্মী ছাড়াও এলাকার অনেকেই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে চায় তাঁকে। সেই বিষয়ে আলোচনার শীর্ষে আছেন তিনি। যে ক’জন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আছেন তাদের তুলনায় অনেক ভোটাররা যোগ্য মনে করছেন তাঁকে। তাছাড়া সবার অনুরোধে তিনিও মেয়র নির্বাচিত হওয়ার জন্য বেশ আগ্রহী।

অপরদিকে, শুধু বসুরহাট পৌরসভা নয়; গোটা উপজেলায় বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনকে আরো চাঙ্গা করার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেকগুলো জনকল্যাণমুলক আয়োজনে তাঁর সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। অবহেলিত মানুষ গুলোকে শান্তনা দিয়ে সহযোগিতারও হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বর্তমানে এই ত্যাগী নেতা বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি, বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি এবং সিরাজপুর পিএল একাডেমী হাইস্কুলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে বসুরহাট পৌর এলাকায় তাঁকে মেয়র নির্বাচিত করার জন্য দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন। সেই অনুযারি কাজও চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে অনেকেই মেয়র দেখতে চায় মর্মে অনুপ্রেরণা দিয়ে লেখালেখি করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন-আবদুল মতিন লিটন সিনিয়র নেতাদের সবুজ সংকেত পেয়েই মাঠে কাজ করছেন।

সকালে ঢাকার জাতীয় ‘দৈনিক ‘আলোকিত প্রতিদিন’ পত্রিকার এই প্রতিনিধিকে আবদুল মতিন লিটন বলেন, দীর্ঘদিন দল করে আসছি। এজন্য আমাকে অনেক কিছু ত্যাগও করতে হয়েছে। সবাই অনুরোধ করার কারণে আমি মেয়র প্রার্থী হওয়ার সীদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে দলের সীদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে বসুরহাট পৌরসভাকে অপরাধমুক্ত করে পরিছন্ন একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো। শাসক নয়; জনগণের সেবক হতে চাই। আমি শহীদ জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক, মানুষের সুখে-দুঃখে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here