বিশেষ প্রতিনিধি:
স্বৈরাচারের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ড. এমদাদ উল্লা মিয়ানসহ সকল ফ্যাসিস্টদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এসময় সরকারকে সাতদিনের আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনকারীরা। গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করেন।
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতে পালালেও সচিবালয় থেকে আওয়ামী লীগ পালায়নি। সচিবালয় থেকে আওয়ামী লীগের সচিবরা নানা ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সরকার দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারের কাজ করছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সচিবালয়ের ভিতরে শেখ হাসিনার যে দোসর আমলারা রয়েছে তারা সরকারের এই কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে। এই বাঁধা থেকে দেশও জাতিকে মুক্তির জন্য এদের দ্রুত অপসারণ প্রয়োজন।
ফ্যাসিস্ট বিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এমদাদুল্লাহ মিয়াসহ দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা স্বৈরাচারী সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু আমলা ঘুষ,পদায়ন বাণিজ্য এবং দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এমদাদুল্লাহ মিয়া বিশ্ব ব্যাংকের পার্টনার প্রকল্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে অনিয়ম করে সরকারকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য বিএনপি সংশ্লিষ্টদের নিয়োগ দিচ্ছেন ও অর্থ পাচারের ষড়যন্ত্র করছেন। তার মতো ফ্যাসিবাদী চক্রের অপসারণ না হলে দেশের কৃষি এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। দেশে দেখা দিবে চরম খাদ্য সংকট।
তিনি আরো বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বর্তমান মহা পরিচালক মো. ছাইফুল আমল ফ্যাসিস্ট পতনের আগের দিন চার আগস্ট ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে। তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন তারা এই নতুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’
আলোকিত প্রতিদিন/১৭ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম