মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার মুরাদ এবং তার স্বামী আবদুল হাই মুরাদকে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এদেরমধ্যে বসুরহাট এলাকায় আবদুল হাই মুরাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি পলাতক মির্জা কাদেরের একান্ত সহযোগি হিসেবে পরিচিত।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ এর বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট সকিনা আক্তার তাদের জামিন না মঞ্জুর করে নোয়াখালী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন কোর্ট পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বসতঘরে অগ্নিসংযোগের মামলায় (সিআর) আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০১২ সালে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাকসুদা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল খায়েরের একটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে মানুষজন আহত হয় এবং ঘরের মূল্যবান মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ আবুল খায়ের বাদী হয়ে ঘটনার পরেরদিন ৩জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আসামীরা মির্জা কাদেরের লোক হওয়ায় পুলিশ মামলাটি নিয়ে তখন টাল বাহানা করে। ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত পারভীন আক্তার মুরাদ ও তার স্বামী আবদুল হাই মুরাদকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি