আজ শনিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নোয়াখালীতে মাজারের ওরসে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট গুরুতর আহত-২২

-Advertisement-

আরো খবর

একেএম ফারুক হোসেন : নোয়াখালী সদর উপজেলায় কালাধরাপে হযরত শাহ সুফি আইউব আলী (রা:)দরবেশের মাজারে বাৎসরিক ওরস শরীফকে কেন্দ্র করে মাজার শরিফ বিরোধী সন্ত্রাসী হামলা ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মুন্সীতালুকে শাহ সুফি আইউব আলী দরবেশ (রহঃ) মাজার শরিফে দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে বাৎসরিক ওরস শরীফ উদযাপন হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০.২১ ও ২২শে ফেব্রুয়ারি ৬৬৬ তম বাৎসরিক পবিত্র ওরস শরীফ উদযাপনকে কেন্দ্র করে মাজার শরিফ পরিচালনা কমিটির পক্ষে জিকির মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।বৃহস্পতিবার  (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় স্থানীয়  মাজারের নিকটস্থ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কয়েক হাজার লোকজন জোড়ো হয়ে প্রকাশ্যে হযরত শাহ সুফি আইউব আলী দরবেশের মাজারে হামলা,অগ্নিসংযোগ  ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এর আগে মাজার কমিটির লোকজন হামলা ও ভাংচুর থেকে বাঁচতে নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পে খবর দিলে তাৎক্ষণিক সুধারাম থানা পুলিশ ও প্রায় ৩০ সদস্য বিশিষ্ট সেনাবাহিনীর টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা ভাংচুর ঠেকানোর  চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।
মাজার শরিফের প্রধান মোতাওয়াল্লী মোঃ জামাল উদ্দিন আল মাইজভান্ডারি সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় মোজাম্মেল হোসাইন, তারেকুল ইসলাম তারেক, এসকে সুজন, মোঃ নোমান, মুন্সীতালুক জামে মসজিদের সভাপতি মোস্তাফা মাষ্টার ও শায়েস্তা মিয়া,কালাদরাফ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক আরাফাত হোসেন, মান্দারতলী হেদায়েত নূর জামে মসজিদের সভাপতি মোজ্জামেল হোসেনসহ কতিপয় উগ্রবাদী মতবাদের ব্যাক্তিদ্বয় সোসাল মিডিয়াতে মাজার শরিফ ভাংচুরের পূর্ব ঘোষণা দিয়েই মাজারের ওরসে আতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়।হামলায় মাজারের মোতোয়াল্লি জামাল উদ্দিনের গর্ভবতী স্ত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়।এসময় হামলাকারীরা মাজার শরীফে শায়িত সূফী সাধক আইয়ুব আলী (রা:) দরবেশের রওজা ভেঙে দেয়।মাজারের পাশে ভক্তদের জন্য নির্মিত একটি টিনের ঘরও ব্যপক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
হামলাকারীরা ওরশ উপলক্ষে আনা গরু, ছাগলসহ মূল্যবান টাকা পয়সা লুটপাট চালাতে থাকে।স্হানীয়রা কেউ কেউ এসময় বাঁধা দিতে আসলে তাদেরও হামলার শিকার হতে হয়।স্হানীয়রা আরো অভিযোগ করে জানান,মাজারের ওরশ শরীফে হামলার হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছিল গ্রুপটি।ওরশে আমরা,আমাদের পিতা,এবং তাদের বংশধরেরা বহু আগে থেকে পালন করে আসছে।ওরশ উপলক্ষে এখানে আল্লাহর জিকির,মিলাদকিয়াম ও গরীব মানুষকে গরুর মাংস দিয়ে তোবারক বিতরণ করা হয়।কিন্তু এই হামলার মধ্যে দিয়ে সব কিছু শেষ করে দেওয়া হয়েছে।হামলাকারীদের কঠোর বিচার দাবী করছে স্হানীয়রা।
হামলার ঘটনায় সুধারাম মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
- Advertisement -
- Advertisement -