দেবিদ্বারে সুলতানপুর ইউনিয়নের বেতুয়া হুজুরের মাহফিল সম্পন্ন

0
83
দেবিদ্বারে সুলতানপুর ইউনিয়নের বেতুয়া হুজুরের মাহফিল সম্পন্ন
দেবিদ্বারে সুলতানপুর ইউনিয়নের বেতুয়া হুজুরের মাহফিল সম্পন্ন
নাজমুল হাসান:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলাধীন সুলতানপুর  ইউনিয়নে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা আবুল হাশেম (রহ.) ও মাওলানা রুহুল আমিন হাশেমী (রহ.)-এর স্মরণে বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার উদ্যোগে ১২তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জৈনপুরের পীর সাহেব মাওলানা আয়াজ আহমাদ জুবাইরী ওয়া সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমীর পরিচালনায় এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।মাহফিলে বেতুয়া হুজুরের ভক্ত মরিদানের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান করেন বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রহ.)-এর সুযোগ্য সাহেবজাদা আলহাজ্ব শামীম সাঈদী। মাহফিলে আরো বয়ান করেন প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা মুফতি ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, প্রখ্যাত আলেমে দীন মাওলানা মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী, জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাদ্দিস মাহবুবুর রহমান আশরাফী, মাওলানা শাহ মুহাম্মদ বাহাউদ্দীন আহমদ পীর সাহেব, মাওলানা ক্বারী শুয়াইব আহমদ আশরাফী, মাওলানা মুফতি আমীমুল ইহসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ হাশেমী পীর সাহেব  দেবিদ্বার উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম শহিদ প্রমূখ পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম।
মাহফিলে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন জৈনপুরের পীর সাহেব মাওলানা আয়াজ আহমাদ জুবাইরী ওয়া সিদ্দিকী।
মাহফিলে প্রধান অতিথি আল্লামা সাঈদীর সুযোগ্য সাহেবজাদা আলহাজ্ব শামীম সাঈদী বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ১৩ বছর জেলে জালেমেরা শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছে। আমরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি। পবিত্র কুরআনের রাজ কায়েম করার জন্য আল্লামা সাঈদী দেশের আনাচে কানাচে দাওয়াত দিয়ে গিয়েছেন। কুরআনের রাজ কায়েম করতে যদি আমাদের মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয় আমরা সেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা মুফতি ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার বলেন, কুরআনের সাথে সম্পৃক্ততা মানুষকে আলোকিত করে, সম্মানিত করে। আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মানুষের সাথে কুরআনের সম্পৃক্ততা না থাকায় মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্টে পরিণত হয়েছিলো। কিন্তু তারা পরে কুরআনের ছায়াতলে এসে সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে।
মাহফিলের পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী বলেন,  মৃত্যুর কাছে আমরা সবাই অসহায়। তাই মৃত্যু আসার আগেই প্রত্যেকের প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর স্মরণে কাটাতে হবে জীবনের প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ। মৃত্যু থেকে কেউই রেহাই পাবে না। এজন্য অন্যের জানাজা দেখে যেন আমাদের নিজেদের জানাজার কথা স্মরণ হয়। অন্যের কবরে শোয়ানো দেখে নিজেদের কবরের কথা যেন মনে হয়। আমরা যেন পরপারে যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহণে তৎপর হই।
মাহফিলের পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী মাহফিলে উপস্থিত সকল মুসলিম জনতাকে অভিনন্দন জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here