আলোকিত ডেস্ক:
সাবেক মন্ত্রী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…রাজিউন)। ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি তার সহধর্মিণী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, আব্দুল্লাহ আল নোমান মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরবর্তী সময়ে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিএনপির প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, আজ বাদ আসর নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিস সামনে আব্দুল্লাহ আল নোমানের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আজ চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। তার মৃত্যুতে সমাবেশটি বাতিল করা হয়েছে।
দেশের অন্যতন প্রবীণ এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আব্দুল্লাহ আল নোমানের জন্ম ১৯৪৫ সালের ৩১ মে। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে। তার বাবা আহমেদ কবির চৌধুরী। আব্দুল্লাহ আল নোমান দেশের খ্যাতনামা শ্রমিক নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে কাজ করা এই রাজনীতিক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে রাজনীতি করেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন জিয়াউর রহমানের সময়। শিক্ষানুরাগী হিসেবেও আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন ব্যতিক্রমী। চট্টগ্রামে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বাংলাদেশের রাজনীতি নক্ষত্র ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমাদের সমাজ পরিবর্তনের যে রাজনীতি তিনি তা শুরু করেছিলেন ছাত্রজীবনে। পরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের আহ্বানে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি বিএনপির নেতৃত্ব পর্যায়ে কাজ শুরু করেন। মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর পর তার ধানমন্ডির বাসভবনে গিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি তাকে দলীয় নেতা হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই না, তিনি জাতীয় নেতা ছিলেন। চট্টগ্রামের মানুষের তিনি খুব প্রিয় নেতা ছিলেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রিয় নাম ছিল আবদুল্লাহ আল নোমান। রাজনীতির জন্য নোমান অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন উল্লেখ বিএনপির মহাসচিব বলেন, জেলে গেছেন বারবার। এমনকি শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। তার এই অবদান দেশের মানুষ কখনও ভুলবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমার আজকে অত্যন্ত শোকাহত। সত্যি কথা আজকে আমার আমাদের একজন অভিভাবক, একজন হৃদয় এবং প্রিয় মানুষকে হারিয়েছি।বিএনপির অন্যতম এই ভাইস চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোক ছড়িয়ে পড়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/২৫ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম