নাজমুল হাসান:
বর্তমান দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং নারী ও শিশুদের উপর যে ভয়ানক ধর্ষণের যে চিত্র প্রতিনিয়ত ভেসে আসছে তা থেকে আমাদের কে বেরিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যেখানে হানাহানি ও সংঘাতের ইতিহাস দীর্ঘ। তবুও সব মানুষের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিন্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের সৃষ্টি করছে, তা হলো নারীদের এবং শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও বিশেষত ধর্ষণ। দিন দিন এই ন্যক্কারজনক ঘটনা বেড়ে চলেছে, যা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিকের চিত্র তুলে ধরে। ধর্ষণ, নির্যাতন, শোষণ—এসব যেন একটি সামাজিক রোগে পরিণত হয়েছে।
ধামতীর দরবার শরীফের বর্তমান পীর বাহাউদ্দীন আহমাদ তার ফেইসবুক ভেরিফাই স্টেস্ট্যাসে লিখেন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। রাস্তায়, বাসে, অফিসে, ঘরেও তারা সুরক্ষিত নয়। স্কুলে পড়াশোনা করতে যাওয়া শিশুদেরও এখন আর সুরক্ষা নেই। বাচ্চাদের প্রতি ধর্ষণ এবং নারীদের প্রতি সহিংসতা দিন দিন বেড়ে চলেছে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন খুব জরুরি। আমরা যদি নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে চাই, তবে আমাদের দায়িত্ব হতে হবে, শুধু শাস্তি নয়, আমরা যেন নারী ও শিশুর প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব গড়ে তুলি। আমাদের পরিবার ও সমাজে নারীদের সম্মান করা এবং তাদের অধিকার দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সরকারের দায়ও রয়েছে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায়, যাতে দ্রুত আইন প্রয়োগ হয় এবং ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নারীদের প্রতি সহিংসতা কমাতে হলে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনি ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করা প্রয়োজন। নারীর মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষিত না হলে, কখনোই সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে আমাদের গর্বিত, সুন্দর, এবং নিরাপদ একটি দেশ বানাতে হলে, সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এটি শুধুমাত্র সরকারের দায়িত্ব নয়, আমাদের সবার দায়িত্ব। ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সচেতনতা বাড়ানো, সঠিক আইন প্রয়োগ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানসিক ও আইনগত সহায়তা প্রদান জরুরি। আমাদের সবাইকে এক হয়ে এই ন্যক্কারজনক অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, যাতে একদিন সত্যিই আমাদের বাংলাদেশে সকলে নিরাপদ থাকে।