একেএম ফারুক হোসেন :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (৫০)শয্যা থেকে চুরি যাওয়া শিশুটিকে ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। বেগমগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চুরি হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সাড়াশি অভিযান চালিয়ে র্যাব শিশুটিকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। এ সময় শিশুটিকে চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত সেই নারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মামলার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মিরওয়ারেশপুর গ্রামের হোসেন আলী টেন্ডলের বাড়িতে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে র্যাব। গ্রেপ্তার নারীর নাম সামছুন্নাহার (৪০)। তিনি সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের মো. সুমনের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু।
গত শনিবার বেলা ১২টার দিকে বেগমগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে শিশুটিকে চুরির ঘটনা ঘটে। দুই মাস সাত দিন বয়সী আব্দুর রহমান নামের ওই শিশুটির মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের চৌকিদার বাড়ির লিটনের মেয়ে।
উল্লেখ্য এর আগে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, শনিবার বেলা ১২টার দিকে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার মা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে টিকিট কাটার জন্য কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়ান। এ সময় বোরকা পরা মধ্য বয়সী অপরিচিতা এক নারী (তার সঙ্গে ৬-৭ বছরের একটি কন্যাশিশু ছিল) শিশুটিকে তার মায়ের কাছ থেকে নিজের কোলে নিয়ে রাখার প্রস্তাব দেন। পরে শিশুটির মা বিশ্বাস করে অপরিচিত ওই নারীর কাছে নিজের সন্তানকে দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষণ পর ওই নারীকে না দেখে দিশেহারা হয়ে আশপাশে শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন মা। এরপর বিষয়টি তিনি থানা-পুলিশকে অবহিত করেন। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ওই নারী শিশুটিকে চুরির কথা স্বীকার করে বলেন নিজের সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ায় শিশুটিকে সন্তান পরিচয়ে লালন পালনের উদ্দেশ্যে চুরি করেন।
এই ঘটনায় রাতে তাঁকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হবে। উদ্ধারের পর রাত ১০টায় শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩।
আলোকিত প্রতিদিন/০৯মার্চ-২৫/মওম