নাজমুল হাসান:
দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কুমিল্লার দেবিদ্বারে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। ১১ই মার্চ মঙ্গলবার দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে শুরু করে দেবিদ্বার নিউমার্কেট হয়ে উপজেলার সামনে এসে শেষ হয়। মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মী সহ শিক্ষার্থীরা ছাড়াও ধর্ষণবিরোধী এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। বর্তমানে দেশে হত্যা, ধর্ষণসহ নানা অপরাধ বেড়ে গিয়ে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। দেবিদ্বার উপজেলা শাখার জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা জানান, ফ্যাসিবাদী প্রশাসনিক কাঠামো ভাঙতে না পেরায় রাষ্ট্র নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বয়স, পেশা, ধর্ম নির্বিশেষে নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। নারীরা নিজের ঘরে নিরাপদ না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ না, কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ না। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নারীর প্রতি সহিংসতাকারীদের শনাক্ত করতে প্রায়ই ব্যর্থ হয়। যা ২৪ এর বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে চলমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য চরম উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার প্রস্তত থাকলেও তাদের কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ধর্ষণের শাস্তি প্রকাশ্যে ফাঁসির এবং প্রতিটি ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলে-দেবিদ্বার উপজেলা শাখার জাতীয় নাগরিক পার্টির নাজমুল হাসান নাহিদ, মো: আরিফুল ইসলাম, নাছির উদ্দীন, আব্দুল্লাহ সামি, জালাল আহমেদ খাঁন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দেবিদ্বার উপজেলা শাখার স্থানীয় নেতাকর্মীরা কয়েকটি দাবি জানান। দাবি গুলো হলো, ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে—যে কোনো উপায়ে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে!
দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন জঘন্য অপরাধ করার সাহস না পায়। ফারজানা বাস নিষিদ্ধ করতে হবে—যদি তারা মেয়েদের নিরাপদ যাতায়াত ও যাত্রীদের সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়। দেবিদ্বারকে ইভটিজিং মুক্ত করতে হবে—এ বিষয়ে প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশে একটি নামমাত্র আইন আছে—ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে একবারের জন্যও এই রাষ্ট্র সেই নজির স্থাপন করতে পারেনি। কেউ দেখাতে পারবে না একজন ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষ চায় ধর্ষকের ফাঁসি দিয়ে এই নজির বাংলাদেশে তৈরি করতে হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১১মার্চ-২৫/মওম