`উদ্ভট উঠের পিঠে ঝিনাইদহ পৌরসভা’
স্টাফ রিপোর্টার: পৌরসভায় নারী কেলেঙ্কারি, অনিয়ম ও দূর্নীতিবাজদের একক সাম্রাজ্য এটা অনেক পুরাতন কথা,তবে ঝিনাইদহ পৌরসভাকে এখন দূর্নীতিবাজদের স্বর্গরাজ্য বলা যেতে পারে, যে কারণে এরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বদলী আদেশও বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে আইনকেও নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে স্বপদে ঝিনাইদহ পৌরসভায় বহাল থাকে।
এদের অবস্থা দাঁড়িয়েছে এমন যে, “আমি সব কিছু ছাড়তে পারি তোমায় ছাড়তে পারবো না।” অর্থাৎ কোনোক্রমেই ঝিনাইদহ ছাড়বে না। কিছু দিন আগের একটি বদলীর আদেশের মধ্য থেকে কিনা পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ কয়েকজন হাইকোর্টের থেকে একটা আদেশ এনে পুরো বদলি প্রক্রিয়াকেই ঠেকিয়ে দেয়। যদিও নিয়োগকালীন শর্ত বদলী যোগ্য। পরবর্তীতে আবার মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত বদলীভাদেশ অনুযায়ী ঝিনাইদহ পৌরসভায় বদলী হয়ে আসা পাঁচ জনকে আবার ঝিনাইদহ পৌরসভাতে যোগদানের আদেশ প্রদান করেছে।
ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার হিজল দুলা ভাই হওয়ার সুবাদে টেন্ডার সিন্ডিকেটের মধ্যে চাকুরী না করেও কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলা গবরা গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান ছোকু মাষ্টারের ছেলে মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম জড়িয়ে পড়েন। ঝিনাইদহ স্থানীয় একজন ঠিকাদার বলেন,” নাঈমসহ এই সিন্ডিকেট ঝিনাইদহ পৌরসভার টেন্ডার এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন।
তিনি আরও বলেন, ” নাঈম পৌরসভা ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন দপ্তরও নিয়ন্ত্রণ করতেন। ” এছাড়া নাঈমের নারী কেলেঙ্কারির বিষয়টা ঝিনাইদহ শহরে ওপেন সিক্রেট মত একটা বিষয়। ঝিনাইদহ শহরে জবেদা খাতুন একাডেমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্ত জেনমীন আক্তার নামে এক শিক্ষিকার সাথে নাঈমের অনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে নাঈমের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, ” শিক্ষিকার সাথে নাঈমের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।
তিনি একসময় বিয়ের জন্য প্রচন্ড চাপ দেওয়ার কারনে নাঈম শিক্ষিকার সামনেই শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষিকা তড়িঘড়ি করে জবেদা খাতুন একাডেমির সামনে মেডিপ্লাস প্যাথলজিতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন। নাঈম শিক্ষিকার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলেও বিভিন্ন চাপে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারছেন না।
শিক্ষিকার কথিত ভাই মিন্টুর রহমান শিক্ষিকাকে নাঈমের পিছনে লেলিয়ে দিয়ে টাকা আয়ের পথ তৈরি করেছে।” মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করতে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা অভিভাবক বলেন ,” আমি আমার শ্বাশুড়িকে মেডিপ্লাস প্যাথলজিতে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দেখি জবেদা খাতুন একাডেমির ম্যাম একজন ভদ্রলোককে ডাক্তার দেখানোর জন্য ছুটাছুটি করছেন। আমি একজনকে জিজ্ঞেস করলাম উনি কে, “তিনি বললেন, উনি পৌর মেয়র হিজল সাহের শালা। ” তখন একজন ম্যামকে জিজ্ঞেস করলেন, ” উনি কি আপনার বাড়িওয়ালা?” জবাবে, “উনি বলেন, না।
আমার পরিচিত। ” গত ১৬অক্টোবর২৪ তারিখে দুপুর ১২/৩০ মিনিটে ধরা পড়লে, “নাঈমের কাছে জানতে চাওয়া হয় একজন মানুষের একাধিক স্ত্রী থাকতেই পারে তাহলে আপনি কেন তাকে বিয়ে করছেন না?” জবাবে নাঈম বলেন, ” আমার স্ত্রী সন্তান থাকার কারনে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ” তখন নাঈম আর কখনও শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ বা দেখা করবেন না শর্তে এবং বড় অংকের টাকার বিনিময়ে মীমাংসা বিষয়টি হয়।” ” উনাদের একে অপরের সাথে এখনো যোগাযোগ আছে” এমন মন্তব্য করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী। তিনি আরো বলেন, “ম্যাম সরাসরি নাঈম ভয়ের সাথে দেখা করতে যান না।
তিনি প্রথম শহরের কোনো না কোনো একটা বাসায় গিয়ে বেশ সময় কাটিয়ে গায়ের পোষাক পরিবর্তন করে হেজাব ও মুখে মাস্ক পড়ে (যাতে কেউ চিনতে না পারে) লেবাস পরিবর্তন করে নাঈম ভায়ের কাছে যান। তিনি আরো বলেন, হিজল স্যারের শালার সাথে সম্পর্ক থাকার কারনে ম্যাম দাপটের সাথে চাকুরী করেন। ” আগামী পর্বে নাঈমের সাক্ষাৎকারসহ ভিডিও আসছে। সাথে থাকুন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি