পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা যেন পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়: তারেক রহমান!

0
53

আলোকিত প্রতিবেদক:  অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ যাতে না পায়।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত ঢাকা লেডিস ক্লাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।

মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারবিরোধী জাতীয় ঐক্যের মধ্যে সংশয় সন্দেহের জন্ম দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়। পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে এখনো রাষ্ট্র থেকে লুণ্ঠন করা হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।

তারেক রহমান বলেন, আমরা দেখেছি পলাতক স্বৈরাচারের শাসনকালে সিভিল সোসাইটি এবং পেশাজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের সক্রিয় সহযোগী হয়ে উঠেছিল। দেশের যেসময় গুম, খুন, নারী ধর্ষণ, অপহরণ, দুর্নীতি ও টাকা পাচার, এমনকি আয়নাঘরের মতো বর্বর বন্দিশালার বিরুদ্ধে তাদের একটি বড় অংশ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি কিংবা করেনি। আমরা দেখেছি উল্টো তারা ফ্যাসিবাদের অপকর্মের জাস্টিফাই করে, একটি বয়ান তৈরি করতো। বীর জনতার রক্তক্ষয়ী এ অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট মাফিয়া সরকারের পতনের পর দীর্ঘ দেড় দশকের অন্ধকার অতীত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অপার সম্ভাবনার এক দাঁড় উন্মোচিত হয়েছে।

বিগত সরকার সংবিধান মানেনি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বর্তমান সংবিধান যেটিতে ইচ্ছেমতো কাটা-ছেঁড়া করে পলাতক স্বৈরাচার প্রায় তাদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল, সেই সংবিধানের ৬৫ অনুষদের দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে। সংবিধানের সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকার পরেও পলাতক ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে সারাদেশের মানুষ দেখেছে, সারাবিশ্ব দেখেছে, বারবার জনগণের ভোট ছাড়া সংসদ গঠন করা হয়েছিল।

ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পেশাজীবীদের মধ্যে যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, নূরুদ্দিন আহমেদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সংগীত শিল্পী মনির খান, কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন ও ন্যান্সি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here