এস কে সিরাজ:
সুন্দরবন থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। তবে, পালিয়ে গেছে চোরা শিকারীরা। হচ্ছে টা কি সুন্দরবনে,হরিণ শিকারীদের কবলে এখন সুন্দরবন,যত্রতত্র থেকে চোরা শিকারীরা ইচ্ছেমত হরিণ শিকার করে লোকালয়ে গরু ছাগলের মত মাংস বিক্রী করছে। হাত বাড়ালেই যেন হরিণের মাংস পাওয়া যায়, সর্বত্র। কোন মতে থামানো যাচ্ছে না চোরা শিকারী তৎপরতা। সুন্দরবনে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে মায়াবি হরিণ। নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে এই সকল মায়াবি প্রানীদের। হরিণ বাচাতে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন।
২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কোবাদক স্টেশনের কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সুন্দরবনের সন্যাসির খাল থেকে এসব হরিণের মাংসসহ একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়।
কোবাদক স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন যানান, সুন্দরবনের সন্যসির খালে নিয়মিত টহলকালে দূর থেকে একটি নৌকা দেখতে পেয়ে তাদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি। এসময় তাদের নৌকা থামাতে বললে তারা নৌকা ফেলে সুন্দরবনের গহীনে পলিয়ে যায়। পরে ফেলে যাওয়া নৌকা তল্লাশী করে হরিণের মাংস ও হরিণ শিকারের সরঞ্জমাদি জব্দ করা হয়। পালিয়ে যাওয়া হরিণ শিকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস পচনশীল হওয়ায় কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মাটিতে পুতে বিনষ্ট করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/২৭ মার্চ ২০২৫/মওম