নাজমুল হাসান:
কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরা গ্রামের ৮ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবাকে আটক করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ।
৫ এপ্রিল শনিবার উপজেলার পৌরসভার বারেরা গ্রামের সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঐবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং ধর্ষককে অবরুদ্ধ করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, বারেরা কাজী বাড়ি রশিদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো মো. জামাল হোসেন (৫০) নামের এক অটোচালক। তিনি দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর চশুই পালপাড়ার বাচ্চু মিয়ার পুত্র। তার দ্বিতীয় স্ত্রী জেসমিন আক্তার এর ৮ বছরের ছোট মেয়ে নাদিয়া। জামাল তার সৎ কন্যা নাদিয়াকে নিয়ে ওই বাড়িতে প্রায় ১ মাস ধরে ভাড়ায় থাকেন। কন্যাশিশুটি কুমিল্লা শহরের দারুল হাকিমিয়া আলিম মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে মো. জামাল হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজন অর্থের বিনিময়ে গোপন করার চেষ্টা করে কিন্তু এলাকার যুবকরা বিষয়টি জানার পর বিকেল ৫টায় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও তাকে মারধর করে। এ সময় বাড়ির মালিকের ছেলে সাকিবসহ কয়েকজন বাধা দিতে আসলে হামলার শিকার হয়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাকিব হোসেনকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত জামাল হোসেন জানান, ২০১৯ সালে তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে দেবিদ্বার বানিয়াপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রায় এক বছর পূর্বে তাকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করেন জেসমিন আক্তারকে। পূর্বের সংসারে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সৎ কন্যাকে শ্লীলতাহানির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নীরব ছিলেন। জামাল হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী জেসমিন আক্তার জানান, ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, পরে মেয়ের কাছে বিস্তারিত শুনেছেন।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে বিকেলে অভিযুক্ত জামাল হোসেনের ভাড়া বাড়িতে পুলিশ সদস্য সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় সেনা সদস্যের একটি দল নিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।
আলোকিত প্রতিদিন/৬ এপ্রিল ২০২৫/মওম