নবীনগরে বোরো ধান কর্তন শুরু 

0
76
নবীনগরে বোরো ধান কর্তন শুরু 
নবীনগরে বোরো ধান কর্তন শুরু 
মোঃ আনোয়ার হোসেন:
 চলতি মৌসুমে নবীনগর উপজেলায় ১৮১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে । এর মধ্যে হাওর এবং বিলে আবাদ হয়েছে ৮৫৫০ হেক্টর। সাধারণত কৃষক হাওরে আগাম ধান আবাদ করে থাকে। আগাম ধান হিসেবে এই অঞ্চলে জনপ্রিয় জাত গুলো  হচ্ছে জিরাশাইল, ব্রি- ২৮, ব্রি- ৮৮ এবং ব্রি- ৯৬ । বিগত কয়েক বছরে রোগ বালাই আক্রমণ বেশি হওয়াতে ব্রি- ২৮ কৃষি বিভাগ থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ব্রি- ৮৮ এবং ব্রি- ৯৬ তুলনা মূলক রোগবালাই সহনশীল এবং ফলন ও বেশ ভাল। সাধারণত এপ্রিলের মাসের মাঝামাঝি হাওরের ধান কর্তন শুরু হয়। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর হাওর, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের জাফরপুর বিলে বোরো ধান কর্তন শুরু হয়েছে। কুড়িঘর হাওরে ১৫ টি
 কম্বাইন হারভেষ্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন হচ্ছে। একটি কম্বাইন হারভেষ্টার দিনে ২৫ বিঘা জমির ধান কর্তন ও মাড়াই করতে সক্ষম এ কাজ সম্পন্ন করতে ১৫০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। সরকারের ভর্তুকি মূল্যের এই প্রযুক্তির কল্যাণে একদিকে শ্রমিক সংকট লাঘব হচ্ছে, অন্যদিকে  অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। কুড়িঘর গ্রামের কৃষক জান মিয়া জানান- এ মাঠে গত ৩-৪ বছর যাবত আমরা মেশিন দিয়ে আগাম ধান কাটি । আমি এই বছর চার বিঘা ধান করেছি , আগে এই ধান কর্তন, ঝাড়াই মাড়াই করতে আমার শ্রমিক লাগত ৩০ জন, সময় লাগত প্রায় ৪ দিন। এখন একদিনেই সব কাজ শেষ হচ্ছে । জাফরপুর বিলের কৃষক কাউছার জানান – ধান কর্তন সঠিক সময়ে করা নিয়ে আপাতত দুশ্চিন্তা নেই । মেশিন দিয়ে ধান কেটে সহজেই বাড়ি আনা যাচ্ছে । এতে সময় ও  অর্থ দুটিই সাশ্রয় হচ্ছে। এই মৌসুমে ব্রি- ৯৬ এবং ব্রি- ১০৭ আবাদ করেছি। ফলন ডালো হয়েছে, রোগবালাইয়পর প্রকোপ একবারে নাই। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান – “চলতি মৌসুমে নবীনগর উপজেলায় ১৮১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০,৫০০ মে.টন । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ধান কর্তন শুরু হয়েছে। শ্রমিকের পাশাপাশি কম্বাইন হারভেষ্টার দিয়ে ও ধান কর্তন করা হচ্ছে”।
আলোকিত প্রতিদিন/১০ এপ্রিল ২০২৫/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here