আব্দুল ওয়াদুদ. ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া বাকি সদস্যরা হলেন- বিচ্ছু শামসুর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, বিচ্ছু শামসুর স্ত্রী কামরুন নাহার চৌধুরী, মেয়ে তাকলিমা নাছরিন চৌধুরী, তাহমিনা নাসরিন চৌধুরী এবং বিচ্ছু শামসুর দুই ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত ও মজিবুল হক চৌধুরী নবাব। অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচারসহ নানান অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে দুদক।
দুদকের একাধিক সূত্র জানায়- অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, ক্যাসিনো ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতাসহ নানান দুর্নীতির অভিযোগে বিচ্ছু শামসু ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দুদক। তদন্তের অংশ হিসেবে ব্যাংক হিসাব জব্দের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মাদক ব্যবসা, দখলবাজি, সরকারি অর্থ লুটপাটসহ নানান অপকর্মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান সামশুল হক চৌধুরী। গত ১৬ বছরে ঢাকা-চট্টগ্রামে সামশু এবং শারুন কেনেন অসংখ্য ফ্ল্যাট, জমি ও ব্যবসায়িক স্পেস।
একইভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে সামশুর ছোট ভাই মুজিবুল হক চৌধুরী নবাব, ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী এবং বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত এমন প্রায় ২০০ রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযুক্তদের অন্যতম ছিলেন সামশুল হক চৌধুরী। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে দুদক কোনো রকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি