ফুলবাড়ীর চরাঅঞ্চল গুলোগুলো সবুজের সমাহার

0
50

মোস্তাফিজার রহমান জাহাঙ্গীর, ফুলবাড়ী কিছুদিন আগের কথা, ধারণা নদী দিয়ে কিনারায় কিনারায় ঢেউ খেলে বয়ে যেত খরস্রোত পানি আর এখন নদীর বুকে সবুজের সমারোহ। নদীটির বুকে জেগে ওঠা চরগুলোতে চাষিরা বোরো, ভুট্টা,সূর্যমুখী ফুল, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ হচ্ছে আর এগুলো চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন অনেক কৃষক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধরলার বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলের চারদিকে সবুজ ফসলেই ভরে গেছে। অথচ ১০/১২ বছর পূর্বে পানি প্রবাহ এতই তীব্র ছিল যে রাতে ধরলার তীরবর্তি বসবাসকারীরা ভয়ে রাত কাটাতো কখন তাদের বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যাবে। সে সময় ছিল প্রাণের স্পন্দন। এখন আর নেই ধরলার সেই উদ্ভাবদনা।

এখন পানি না থাকায় ধরলা সৃষ্টি করেছে প্রায় ছোট-বড় চার শতাধিক চরের। বিনষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য। এরই মধ্যে ধরলায় পানি না থাকায় হেঁটে কৃষক ধরলা বুকে জেগে ওঠা চরে পলিমাটিতে বোরো ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করছেন। ধরলার জেগে ওঠা চরের শত শত বিঘা জমিতে কৃষকরা প্রায় ১০/১২ বছর ধরে বোরো ধান ও ভুট্টার চাষাবাদ করে আসছেন।

ধরলা পাড়ের কৃষক শাহীন আলম, বাদশা মিয়া, মকছেদুলসহ আরো অনেক জানান, এক সময় এই ধরলা নদী পানি দিয়ে ভরপুর ছিল আর নদী দিয়ে সব সময় স্রোত যেত এখন সেই ধরলা নদীর উপর বালু ও পলি মাটি পড়ে আবাদের উপযোগী হয়েছ, আমরা সেখানে বিভিন্ন ধরনের আবাদ করছি ফসল ফলাচ্ছি যা পুরোনো আবাদি জমি থেকে এখানে ফলন ভালো হচ্ছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান,উপজেলায় মোট আবাদি জমি ১২ হাজার ৪ শত ৪৫ হেক্টর। চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। অর্জন হয়েছে ১০ হাজার ২০৫ হেক্টর। এ উপজেলায় ২০ টি চরের মধ্যে ধরলাসহ অন্যান্য নদীর অববাহিকায় চাষাবাদ হয়েছে ১৬ শত ৫০ হেক্টর।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here