অনলাইন ডেস্ক : মির্জাগঞ্জে একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বাড়িটিতে একই সময়ে দুই ঘরে ডাকাতি হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতেরা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে, ডাকাত দল দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওষুধ ব্যবসায়ী গৃহকর্তা সোবাহান হাওলাদার (৬০)। এ সময় ডাকাতেরা তাকে পানি পান করতে দিয়ে সেবাযত্ন করে। পরে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে ডাকাতেরা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে লুট করে।
এ সময় ডাকাতের একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা জহিরুল ইসলামের আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙেও লুটপাট করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ডাক–চিৎকার না দেওয়ায় ডাকাতেরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। দুই ঘর থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে বলে দাবি।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী সোবাহান হাওলাদার বলেন, “আমার পাকা দালানের দরজার সিটকিনি ভেঙে ঘরে ঢুকে ডাকাত দল। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দিলে আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ সময় ডাকাতেরা আমাকে পানি খেতে দেয়। পরে একাধিক আলমারি ভেঙে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায়। ডাকাত দল এক থেকে দেড় ঘণ্টা ঘরের বিভিন্ন আসবাব তছনছ করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ও আমার স্ত্রী এ সময় ঘরে ছিলাম। কতজন ডাকাত ঘরের বাইরে ছিল, আমরা জানি না। তবে আমার কক্ষে তিনজন ঢুকেছিল। তারা আমাদের কোনো আঘাত করেনি, বরং আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আমার সেবাযত্ন করে।”
আরেক ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম বলেন, “রাত দুইটার দিকে বৈরী আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মুখোশ পরা একদল ডাকাত ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয় এবং ঘরের সব আসবাব তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।”
ডাকাতির ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি