মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ; চট্টগ্রাম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পদে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দেখতে চায় দলীয় নেতাকমীরা। আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত সময়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন অসংখ্য বার হামলা- মামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি তার পিতা মারা যাবার পরে জানাজায়ও তিনি শরিক হতে পারেননি। ওই সময় তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে পিতার জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এমন ঘটনা থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে উঠেন। এজন্য তাকে উপজেলা বিএনপি’র শীর্ষ পদে দেখার জন্য অনেকেই আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সফল আইন মন্ত্রী মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সহ জেলা এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের সাথে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সুসম্পর্ক তৈরি হয় কয়েক যুগ আগেই। স্কুল বয়সেই তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। দলের সভা- সমাবেশ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বহুবার। তবুও দলের জন্য নিবেদিত এবং কর্মীবান্ধব এই নেতা রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দেননি। আন্দোলন- সংগ্রাম করতে গিয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন বেশ কয়েকবার। বিগত সময়ে তাকে না পেয়ে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা তার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করেছে। তাছাড়া এখনো আওয়ামী লীগের দায়ের করা সেই পুরনো মামলাগুলোর কারণে মাসের মধ্যে বেশ কয়েকবার আদালত পাড়ায় ছুটে যেতে হয় এই সংগ্রামী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।
এমনও নজির আছে হামলার শিকার হয়ে নোয়াখালীতে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেন নাই। রক্তাক্ত হয়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে সেখানেও তিনি ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারেননি। পুলিশ- আওয়ামী লীগ কর্মীরা তার পিছু ছাড়েনি। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অসংখ্যবার হামলা- মামলার শিকার হয়েছেন। এরপরেও দলের জন্য মাঠে বরাবরেই নিবেদিত ছিলেন। বর্তমানে বসুর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে তিনি দলীয় সমাবেশে বরাবরেই তিনি দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে সরব উপস্থিত হচ্ছেন। এতে নেতা কর্মীরাও তার প্রতি আস্থা এবং ভালোবাসা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র কমিটি গঠনের তোড় জোড় চলছে। এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উপজেলা বিএনপি’র শীর্ষ পদে দেখতে চায় এলাকার দলীয় নেতাকর্মীরা। এজন্য তারা এলাকায় এলাকায় দলীয় সভা এবং উঠান বৈঠকও করছেন। নেতাকর্মীদের দাবি- আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পেলে দলকে টেনে আরো শক্তভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তাছাড়া তার অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে দলীয় নেতাকর্মীরাও তার প্রতি সন্তুষ্ট। এজন্য উপজেলার অনেক দলীয় নেতৃবৃন্দ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায়।
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পদে দেখতে চাই মর্মে শুভকামনা করে লেখালেখিও করেছেন। মঙ্গলবার সকালে আলোচিত বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এই প্রতিনিধিকে বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে উপজেলা বিএনপি’র শীর্ষ পদে দেখার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমি দায়িত্ব পেলে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দায়িত্ব পালন করে যাব ইনশাল্লাহ।