প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, হুথি বিদ্রোহীদের হামলা এড়াতে রণতরীটি সরে যাওয়ার জন্য বাঁক নিয়েছিল। সে সময়ই এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানটি সাগরে পড়ে যায়। এর আগে সোমবার হুথি বিদ্রোহীরা বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে। দীর্ঘদিন ধরেই হুথিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে ওই রণতরীটি লোহিত সাগরে অবস্থান করছে।
এই ঘটনায় এক নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন। অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিমানটি ডুবে গেছে। নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানের দাম ৬ কোটি ডলারের বেশি। ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় আরও হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে আরও হামলা চালিয়েছে। সাদা শহরে দুই দফা হামলা এবং বারাত আল আনান জেলায় চার বার হামলা চালানো হয়েছে।
বিমানটি পড়ার আগেই নিজেদের নিরাপত্তার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় ক্রুরা। ফলে কেউ নিখোঁজ হননি। তবে দুর্ঘটনার সময় একজন নাবিক সামান্য আহত হন।রণতরীটি যেখানে ছিল এটি এখনো সেখানেই আছে। এছাড়া অন্যান্য বিমান অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। কীভাবে রণতরী থেকে বিমান পড়ে গেলো সেটি এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
হ্যারি এস ট্রম্যানে থাকা একই মডেলের আরেকটি যুদ্ধবিমান গত বছর ভুলক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারাই গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। তবে ইউএসএস গেটিসবার্গ গাইডেড মিসাইল দিয়ে ভূপাতিত করা বিমানটির দুইজন পাইলট সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। একটি হলো ট্রুম্যান। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে গত মার্চ থেকে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যেগুলো এই দুটি রণতরী থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্র: এএফপি/ সিএনএন
আলোকিত প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল ২০২৫/মওম