নবীনগরে গভীর রাতে প্রবাসীর ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক-১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের দীর্ঘসাইল গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে প্রবেশ করে। দুর্বৃত্তের দল ঘরে থাকা নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ও ছবি ধারণ করে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় এক অভিযুক্তকে (এজাহারভুক্ত ৩নং আসামি নান্টু মিয়া- ৪৫) পালানোর সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ভুক্তভোগী জানান-গত ১১ মে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার ঘরের দরজা ভেঙে তিনজন দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে। তারা তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রথমে আলমারির চাবি চায়, চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এবং পাশের রুমে থাকা দেবরকে মারধর করে। পরে তারা আলমারি থেকে নগদ দুই লাখ টাকা এবং প্রায় এক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে, তারপর আসামিরা গৃহবধু আয়েশাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার পরনের সালোয়ার খুলে ফেলে উলঙ্গ করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরে ভুক্তভোগী আয়েশা এবং তার দেবরের আপত্তিকর ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ঐ মোবাইল ফোনটিও দুর্বৃত্তরা ছিনিয়ে নেয়। দুর্বৃত্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে শফিক মিয়া (১নং আসামি) ভুক্তভোগীর ইমু নাম্বারে কল করে অর্থ দাবি করে এবং তাদের দাবীকৃত টাকা না দিলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা (নং-১৮, তারিখ-১৩/০৫/২০২৫) রুজু হয়েছে। নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান – “মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা তিনজন। একজনকে (৩ নং আসামি নান্টু মিয়া) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে”।