গত ১১ মে চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় অরুণাচলের ২৭টি জায়গার নতুন নামকরণ করে। যারমধ্যে রয়েছে ১৫টি পাহাড়, চারটি রাস্তা, দুটি নদী, একটি লেক এবং পাঁচটি বসতি এলাকা।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, চীন পঞ্চমবারের মতো অরুণাচলের জায়গার নাম পরিবর্তন করেছে। গত বছরের অক্টোবরে দুই দেশের সেনারা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার চুক্তি করার পর প্রথমবারের মতো বেইজিং আবার অরুণাচলের জায়গার নাম পরিবর্তন করেছে।চীনের এই কাজের সমালোচনা করে রণধীর জসওয়াল ১৪ মে বুধবার বলেন, “আমাদের নীতিগত অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং সব সময় থাকবে।”
চীন অরুণাচল প্রদেশকে ‘জাংনান’ নামে ডাকে। চীনের দাবি অরুণাচল দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। ২০১৭ সাল থেকে অরুণাচলের বিভিন্ন জায়গার নতুন নামকরণ শুরু করে তারা। ২০১৭ সালে ছয়টি, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে ১৫টি এবং ২০২৪ সালের মার্চে আরও ৩০টি জায়গায় নিজেদের পছন্দের নামকরণ করে তারা।
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চীনের সেনাদের মধ্যে অস্ত্র ছাড়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই সময় ২০ ভারতীয় ও চার চীনা সেনা নিহত হয়। এরপর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
তবে সম্প্রতি দুই দেশ দীর্ঘ চার বছর পর তিব্বতে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে রাজি হয়েছে। এছাড়া একে অপরের প্রতি আস্থা তৈরির কাজও করছে।
সম্প্রতি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে সংঘর্ষ হয় সেটিতে চীন পাকিস্তানকে সহায়তা করে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আলোকিত প্রতিদিন/১৪মে ২০২৫/মওম