ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা রাজনৈতিক : রিজভী

0
47
ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা রাজনৈতিক : রিজভী
ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা রাজনৈতিক : রিজভী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়া আলম সাম্য হত্যাকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

১৫ মে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মানববন্ধনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের প্রকাশনা এবং প্রচার সম্পাদক সাম্যের হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত হয়।

রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সবাই একটু স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে ক্লাসে যাবে, ক্লাস থেকে বের হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অরাজক পরিস্থিতি। তরুণ ছাত্রের লাশ ক্যাম্পাসে, রক্ত ঝরছে। এখন তো আর আওয়ামী দোসররা নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, সকল বিরোধী দলীয়, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, সমর্থন করেছেন। তাহলে এখন কেন লাশ পড়বে?

তিনি বলেন, গত পরশুদিন রাত ১২ টার সময় ছাত্রদল নেতা সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। কি অন্যায় ছিল সাম্যের? আমার তো মনে হয় এখানে রাজনৈতিক কারণ আছে। তিনজন ভবঘুরে সাম্যকে কেন হত্যা করবে? কয়েকদিন আগে শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্ধের আন্দোলনের বিরুদ্ধে সাম্য একটি পোস্ট করেছিল। এটাই কি হত্যার কারণ?

রিজভী বলেন, আমরা দেখেছি ফ্যাসিবাদী আমলে পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আবরারকে হত্যা করা হয়। আজকে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, ৭১ এবং স্বাধীনতার পক্ষে কথা বললে তার জীবন চলে যায়। আমি এজন্যই বলেছি, নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে।

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি এই নেতা বলেন, আপনারা ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন। ভবঘুরেদেরকে গ্রেপ্তার করেছেন, মানুষ এসব বিষয় সহজভাবে নেয় না। মানুষ সহজভাবে নিত যদি, সবসময় সত্য এবং ন্যায় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নিত। কিন্তু সেটা তারা নেয়নি। যেমন আবরার হত্যাকাণ্ডে নেননি, তেমনি অনেক ঘটনাও নেননি। আজকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাসিনা নেই, দোসররা নেই, রক্তপাত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তারপরও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে তফাজ্জল নামে একজনকেও হত্যা করা হয়েছে। ক্যাম্পাস হবে শান্তি, এখানে থাকবে শান্তির পতাকা। সেখানে কেন রক্তপাত হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চাযের কাছে ছাত্রদলের নেতারা গিয়েছিল। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মারা গেছে। আপনি বিরক্ত হয়েছেন, ক্ষুব্ধ হয়েছেন, আপনি শুনতে চান না। কারণ সাম্য ছাত্রদল করে। আপনার রাজনৈতিক চিন্তা দর্শন কি সেটা আমরা ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছি। যারা জাতীয়তাবাদের পক্ষে ওখানে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে ছাত্র সংগঠন করে, সেটা আপনি পছন্দ করেন না। আপনার উচিত ছিল প্রথমে সেই লাশ দেখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ আরও অনেকে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫মে ২০২৫/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here