কবি সৈয়দ রনোর কবিতা

0
99
সৈয়দ রনো-
উল্কাপিণ্ডের সলিল সমাধিতে বসে
রামায়নের ধনুক বাঁকানো মুদ্রায়
ভাবনায় আকাশ পাতাল
আতর লোবানের সুমিষ্ট ঘ্রাণে
এখনো আহ্লাদিত মাতাল কবি
বিসর্জিত অতীতের বিলাপ ধুয়ে মুছে
সঠান দাঁড়িয়েছে কবি সৃষ্টির মুখোমুখি
নক্ষত্রের আলোতে টুপটাপ ঝরে পড়ে
কোনো এক কবির কাব্যসূধা
লজ্জারাঙা মাতাল ঢেউয়ের নাচনে
হাবুডুবু খায় বয়স্ক অনুরাগ।
বিধবার শাড়ির ভাঁজে লুকিয়ে পড়ে আটপৌঢ়ে সময়
কবি পারদহীন স্বচ্ছ আয়নায় দেখে সময়ের মুখ
কল্পনার স্তূপে জেগে উঠে রূপবতী চর
ধার দেনা সে তো জীবনের ধারাপাত
দুঃখের ত্রিশূল বিদ্ধ কবি হয়ে উঠে অগ্নিপুরুষ
প্রযুক্তির র্যাপিংয়ে মুড়িয়ে সতেজ থাকে কবিতার ঘোর।
কবিতার ঘর বসতিতে কবি দিন দিন আপন হয়ে জাগে
বিকেল রাঙা ক্লান্তিতে কবির চোখে মুখে রৌদ্র খরতাপ
কাব্যসূধার খরস্রোতে কবির বুকের নদীতে কূলভাঙ্গা গর্জন
চোখের কুঠুরীতে বাসা বাঁধে শৈবাল
হাঁটুতে যখন রৌদ্র ভাঙ্গা চৈত্রের দাবদাহ
তখনও নির্বাক কবি খুঁজে ফিরে কবিতার প্রহর
কবি প্রতীক্ষায় থাকে কখন দেখবে
পৌষ পার্বনে কুয়াশারাঙা ভোর
দেখবে অথৈ জলে প্রেয়সীর নগ্ন ডুব সাঁতারের খেলা
কখন শুনবে একটি মরা নদী
ধীরে ধীরে কামার্ত হয়ে উঠার গল্প
নর্তকীর পায়ের ঢেউ তোলা মুদ্রায়
আবাল্য দাঁড়িয়ে থাকা কবি দেখে
সভ্যতার বন্দী গিঠের কুঠুরীতে
আটকেপড়া বিবেক।
সন্ধ্যার আগমনে ঝরে পড়া সূর্যের ক্ষত
গায়ে মেখে প্রতিবাদমুখর ঝাঁঝালো মিছিল
বৃষ্টিঝরা শ্লোগান
কবি শত প্রতীক্ষার যন্ত্রণাময় প্রহর কেটে কেটে
ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে যায় মহা নিদ্রায়
ঘুমের ঘোরে নিজের রঙিন চোখের পারদ গলিয়ে দেখে
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের ভেতর বাহির
দেখে আলোকিত করিডোর।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here