মোঃ আনোয়ার হোসেন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জাল্লা বিলে সবুজ ধানক্ষেতের মাঝে সোনালী ধানের শীষ জানান দিচ্ছে বাম্পার ফলনের। তবে এইবারের চিত্রটা একটু ভিন্ন। একই জমিতে ইরি ধান কাটার পর তার ডাংগা থেকে আবারো ধানের শীষ বেরহয়ে বাতাসে দুলছে। একই খরচে পরপর দুইবার ধান! এ ফসল কৃষকদের মাঝে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, কৃষকদের মুখেও হাসি ফুটেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন- আধুনিক কৃষি পদ্ধতির কল্যাণে তারা নতুন পদ্ধতিতে ধান কেটে লাভবান হচ্ছেন। এই দ্বৈত চাষা পদ্ধতি একদিকে যেমন জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করছে, তেমনি কৃষকদের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হচ্ছে। জাল্লা বিলের কৃষক রহিম মিয়া জানান -“আগে আমরা বছরে একবার ফসল (ধান) পেতাম। কিন্তু কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবার একই জমিতে ধান পাশাপাশি স্বল্প সময়ে দুটি ফসল (ধান) পেয়েছি। এতে আমাদের আয় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে”। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন- এ পদ্ধতি অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকদের জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। একই জমিতে দুই ফসল ফলানোর এই উদ্যোগ এক দিকে যেমন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, তেমনি গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। আধুনিক এ কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন নবীনগরের জল্লা বিল এক নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এ সোনালী ধানের ঢেউয়ের সাথে মিশে আছে কৃষকের স্বপ্ন আর সমৃদ্ধির হাতছানি।
আলোকিত প্রতিদিন/২০মে ২০২৫/মওম