উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: ফখরুল

0
55
উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: ফখরুল
উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: ফখরুল

উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

২২ মে বৃহস্পতিবার ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ইশরাককে মেয়র পদে শপথ পড়ানো নিয়ে আদালতের রায়ের পর কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সেখানে মির্জা ফখরুল বলেন, উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত সেই ধরনের রায় দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটা বিজয় হয়েছে। আমরা জানি যে, যখন মেয়র নির্বাচন হয় তখন সেটা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জবরদস্তি করে এই ফল কেড়ে নিয়েছিলো। জনতার মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীসহ দেশের জনগণ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছিলো।

ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আশা করব যে, মন্ত্রণালয়ে আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলবার চেষ্টা করবেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট সেটি দূর করার একটিমাত্র পথ তা হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই। কারণ সংস্কারের যে বিষয়টা আছে সেটা চলমান প্রক্রিয়া। এটাও প্রোপজ করবে যারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে আছে তারা অতিদ্রুত যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো তারা ঘোষণা করবেন। সেসব বিষয়ে ঐক্যমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা কিংবা এটা নিয়ে টানাহেচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে।

তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা যে, অতিদ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো যেগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা। আর যে গুলো ঐকমত্য হবে না সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।

নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি যে, যেহেতু আদালতে এ বিষয়ে রায় হয়েছে, জনগণের বিজয় হয়েছে। এখন আর এই বিষয়টাকে সেভাবে সড়ক অবরোধ করে না রেখে আশা করার যায় যে সরকারের সুমতি হবে… তারা ইশরাককে শপথ দেওয়ার ব্যবস্থা নেবেন।

গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে আছেন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

আলোকিত প্রতিদিন/২২মে ২০২৫/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here