অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছি, করে যাব: সেনাপ্রধান!

0
65

আলোকিত ডেস্ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা আমরা করে যাব। তবে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, চলমান সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁর কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই এবং এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনো আলোচনা বা পরামর্শ করা হয়নি।

বুধবার (২১ মে) ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। সেখানে তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, নির্বাচন, সংস্কার, মানবিক করিডরসহ একাধিক বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই দেশের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াবে না এবং কাউকে তেমন কিছু করতে দেবে না।

সেনাপ্রধান সেনাসদস্যদের নিরপেক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ নির্বাচনে সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে একটি অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যা দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসন কাঙ্ক্ষিতভাবে পুনর্গঠিত হতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, “বিষয়টি স্পষ্ট নয়, ঝুঁকিপূর্ণ ও অসম্ভব। এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়, এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অবশ্যই একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে, যাতে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকে। এখানে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।”

সামরিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, “রাষ্ট্রীয় সংস্কার এবং নিরাপত্তাগত বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্ধকারে রাখা উচিত নয়। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকার পরিচালনায় সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। কাউকে অবজ্ঞা করলে রাষ্ট্রের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সেনাপ্রধানের দূরদর্শী ভূমিকা স্মরণীয়। আজও সেনাবাহিনী দুর্যোগ এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তাদের মতামত উপেক্ষা করে মানবিক করিডর বা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে।” তিনি বলেন, “সংস্কারেও সশস্ত্র বাহিনীর সম্পৃক্ততা দরকার, কারণ তারাও সংস্কারের আওতাভুক্ত।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here