আলোকিত প্রতিবেদক:
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ে ২৫ মে রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানায় সংগঠনটি। এছাড়া কর্মচারীদের রেশন এবং সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিও জানান তারা।
কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর এবং মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ওই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেলা ১০টার পর থেকে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে কর্মচারীদের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে এবং সমাবেশ স্থলে স্থান সংকুলানের অভাব দেখা দেয়।
২৪ মে শনিবার নেতারা সাধারণ কর্মচারীদের নিয়ে সচিবালয়ের আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সেখানে অবস্থান নেন। তখন কর্মচারী নেতারা লেজিসলেটিভ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, এ অধ্যাদেশটি উপস্থাপিত হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। তাদের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে আমরা তা করবো। তবে আপনাদের যৌক্তিক বিষয়গুলো বিবেচনারও সুযোগ আছে।
পরে নেতারা সাধারণ কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দফরে তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব নেতাদের কথা শোনেন।
তিনি বলেন, নিবর্তনমূলক আইন যাতে বাস্তবায়িত না হয় সে বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মূলত এ আইন প্রস্তাব আকারে আমাদের কাছে এসেছে। তার কথা শুনে কর্মচারী নেতারা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানান। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে তার দায়-দায়িত্ব সাধারণ কর্মচারীরা বহন করবেন না বলেন তারা।
এ পর্যায়ে সচিব জানান, আপনাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ অধ্যাদেশ চূড়ান্ত হবে না। ওই নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান কর্মচারী নেতারা।