গর্ভবতী নারীরা যে ৫ ফল খাবেন না!

0
40

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গর্ভবতী নারীর পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত জরুরি। ফলমূল, সবজি, খনিজ, প্রোটিন – এ সবই শিশুর গঠন ও বিকাশের জন্য প্রয়োজন। তবে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্যাভ্যাস সরাসরি গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই কিছু ফল পুষ্টিকর হলেও গর্ভাবস্থায় সেগুলো খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্ষতি হতে পারে।

আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে বাড়ির বয়স্ক নারীদের কাছে বিভিন্ন খাবার খাওয়া ও না খাওয়ার পরামর্শ পেয়ে এসেছেন গর্ভবতী নারীরাও। সেগুলোর কিছু কিছু কুসংষ্কার হলেও বাকিগুলো তাদের অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া জ্ঞান। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানের উৎকর্ষের কারণে আমরা স্পষ্ট করে জানি যে, কোন পরামর্শগুলো মেনে নেওয়া উচিত এবং কেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী নারীরা কোন কোন ফল খাবেন না।

১. পাকা পেঁপে

পাকা পেপেতে ল্যাটেক্স নামক একটি উপাদান থাকে, যা জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে। এতে গর্ভপাত বা অকাল প্রসবের ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়া পেপেতে থাকা প্যাপাইন এনজাইম গর্ভফুল (প্লাসেন্টা) এর কোষ ধ্বংস করতে পারে, যা ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকরও বটে।

২. আনারস

আনারসে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে, যা জরায়ু মুখ নরম করে সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে তখন। প্রথম তিন মাস আনারস খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শেষের দিকে পরিমিত আনারস খাওয়া যেতে পারে।

৩. আঙুর

আঙুরে রেসভেরাট্রল নামক যৌগ থাকে, যা গর্ভাবস্থায় বিষাক্ত হতে পারে আপনার। বিশেষ করে কালো আঙুর না খাওয়াই ভালো, কারণ এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি ও করতে পারে। এছাড়া আঙুরে সাধারণত কীটনাশকের মাত্রা বেশি থাকতে পারে, যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বটে।

৪. তেতুল

তেতুলে ভিটামিন-সি বেশি থাকলেও এটি অ্যাসিডিক প্রকৃতির। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেতুল খেলে অম্লতা ও বমি বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া তেতুলের ল্যাক্সেটিভ প্রভাব থাকায় ডায়রিয়া বা পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর হচ্ছে তেতুল।

৫. লিচু

লিচুতে শর্করা ও তাপ উৎপাদনকারী উপাদান বেশি থাকে, যা গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। এছাড়া লিচু গরম প্রকৃতির ফল, তাই শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। কিছু গবেষণায় লিচুর সঙ্গে গর্ভপাতের সম্পর্কও পাওয়া গেছে।

তাই গর্ভাবস্থায় যে কোনো ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। খওয়ার আগে ফল ভালোভাবে ধুয়ে কীটনাশকের ঝুঁকি কমাতে হবে। অতিরিক্ত কোনো ফলই খাওয়া ঠিক নয়, বিশেষ করে প্রথম তিন মাস সতর্ক থাকতে হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here