বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী পরিবার

0
592
বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী পরিবার
বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী পরিবার
প্রতিনিধি,নোয়াখালী:
গত ২৫ মে রবিবার বিকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে নুকু মিয়া বেপারি বাড়িতে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ ওঠে।হামলার পর থেকে গত ৪৮ ঘন্টায় হামলাকারীরা ফের আবুল হোসেন বাবলু ও মাহফজুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুজতে মহড়া চালাতে থাকায় জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নুকু মিয়া বেপারি বাড়ির কয়েকটি পরিবারের বৃদ্ধা বনিতাসহ অনেকে। আবুল হোসেন বাবলুর অসুস্হ মা আয়েশা বেগম বলেন,হামলার পর হতে সন্ত্রাসীদের ভয়ে গত তিন দিনেও রান্নার জন্য  চুলার আগুন জ্বালাতে পারিনি।ঘরে আমরা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি।সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে বাবলুকে সকাল – বিকাল খোঁজার জন্য বাড়িতে আসে।হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে ভুক্তভোগী পরিবার গত ২৫মে তারিখে বেগমগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাজিপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কয়েকডজন মামলার আসামি মঞ্জু ওরফে ইয়াবা বলির (২৮)পিতা হোরা মিয়া নেতৃত্ব সন্ত্রাসী সৈকত (৩০) পিতা চৌধুরী মিয়া,উভয়ের বাড়ি পৌর হাজীপুর খালাসি বাড়ির, বিজয় (২৪)পিতা শাহীন সাং হাজিপুর ১ নং ওয়ার্ডের রবি মেম্বারের বাড়ি, রিপন (২৪)পিতা অজ্ঞাত সাং ৯ নং হাজিপুর পাটোয়ারী বাড়ি, সাগর(২৫) পিতা নুরুল হুদা সাং একলাশপুর নূরুল হুদার বাড়ি, অজ্ঞাত আরো ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে বাড়িতে ঢুকে  বাবলুকে না পেয়ে অস্ত্রের মুখে বাড়ির মহিলাদের জিম্মি করে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।লুটপাটে বাড়িতে থাকা নগদ ৪লক্ষ টাকা,২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার,মোবাইল, চার্যার নিয়ে ফিল্মি কায়দায় ফের ফাঁকা গুলি করে। যাওয়ার সময় আবারও হামলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।যেতে যেতে সন্ত্রাসী মঞ্জু ওরফে ইয়াবা বলি ৬ রাউন্ড গুলির পয়সা ফেরত চেয়ে হুমকি দিয়ে বলে,” আমার খরচাকৃত গুলির পয়সা বাসায় গিয়ে পৌঁছে দিবি”।উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এই প্রতিবেদককে জানান, হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো মধ্যে পিস্তল ও সর্টগানের মতো অস্ত্র বলে মনে হয়েছে। এবং তাদের অস্ত্রগুলোর ব্যবহার পেশাদার অপরাধীর মতো।এর আগে বাদি মাহফুজের ফুফাতো ভাই বাবলুকে ১ লক্ষ টাকার চাদার দাবিতে ওই সন্ত্রাসী গ্রুপটি অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে স্হানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় ১৫হাজার টাকা দিয়ে নিয়ে আসে।এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানানভাবে চাঁদা চেয়ে আসছিলো পরিবারটির কাছে।চাহিদার বিপরীতে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে হামলা করতো ওই সন্ত্রাসী গ্রুপটি।ভুক্তভোগী পরিবারের এখন একটাই দাবি সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে পুলিশ যেনো তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। হামলা আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ছাড়া বাদি মাহফুজুর রহমান রানা ও বাবলু জীবনের নিরাপত্তায় প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গত ২৫মে হামলার ঘটনার পর থেকে ২৭মে বিকাল পর্যন্ত বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।বিষয়টি জানতে বেগমগঞ্জ থানার (ওসি) লিটন দেওয়ানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগে বলেন,গুলি এবং লুটপাটের বিষয়টি আমার জানা নেই।তবে এই মামলর আই ও, এস আই কুতুবউদ্দিন লিয়নের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।পরে এস আই কুতুবউদ্দিন লিয়ন জানান,ওই ঘটনার অভিযোগটি গত ২৬ মে বিকাল বেলায় পেয়েছি। ওখানে প্রাথমিকভাবে গুলাগুলির বিষয়টি জানতে পারি।বাদি মাহফুজুর রহমান রানার সাথে আমার যোগাযোগ অব্যাহত আছে।আগামীকাল ২৮মে সকালে ঘটনাস্থলে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ করেন এসআই লিয়ন।
আলোকিত প্রতিদিন/২৭মে ২০২৫/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here