দূর দেশে কেমন যাচ্ছে সময়? দেশ, বন্ধু-বান্ধব মিস করছেন নিশ্চয়ই?
সময় ভালোই যাচ্ছে এখন।
খুবই ভালো যাচ্ছে। প্রশিক্ষক স্কট অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমাকে বেশ সম্মান করেন। এই কোর্সে আমরা ১২ জন নির্বাচিত হয়েছি। মূলত আমাদের ইম্প্রোভাইজেশন শেখানো হচ্ছে, কিভাবে একটা দৃশ্য আরো ভালো করা যায়, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কিভাবে নিজের অভিনয়টা প্রমাণ করা যায়। দেখুন, জীবনে তো অনেক কিছুই ঘটে। কিন্তু যখন আমরা অভিনয় করি, তখন সেসব ভুলে যেতে হয়। এই কাজটা আরো কতটা নিখুঁতভাবে করা যায়, সেসব নিয়ে কাজ করছি। আগামী সপ্তাহ থেকে চিত্রনাট্যের ওপর প্রশিক্ষণ হবে। স্কট আমাদের স্ক্রিপ্ট দেবেন, সেটার ওপর পারফরম করতে হবে। এগুলো নিয়ে বেশ এক্সাইটমেন্টের মধ্যে আছি। জুলাই পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ চলবে এখানে।
প্রশিক্ষণে আপনার সহপাঠী যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠছে নিশ্চয়ই?
সবার সঙ্গেই আলাপ হচ্ছে। এ কোর্সে আমি একাই এশিয়ান এবং বাংলাদেশি। বাকি সবাই আমেরিকান কিংবা অনেক দিন ধরে আমেরিকায় থাকেন। কেউ ডালাস থেকে এসেছেন, কেউ ডমিনিকা থেকে; একেকজনের সঙ্গে একেক রকম বন্ডিং হচ্ছে। প্রতিটা ক্লাস ৬ ঘণ্টা। ফলে লম্বা সময় ধরে আমরা একসঙ্গে থাকছি। সব কিছু মিলিয়ে ভালোই কাটছে সময়।
সুমন আনোয়ারের ওয়েব ছবি ‘মির্জা’ মুক্তি পেল গতকাল। কবে কাজটি করলেন? কেমন ছিল অভিজ্ঞতা?
এখানে আমি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছি; দুই বোন লিজা ও লুনা। আসল টুইস্ট জানতে অবশ্যই পুরো ছবিটা দেখতে হবে। মাস ছয়েক আগে এ ছবিটি করেছিলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা। চিত্রনাট্য খুবই ভালো। তবে আমি অনেক এক্সাইটেড ছিলাম, মোশাররফ করিম ভাইয়াকে সহশিল্পী হিসেবে পেয়ে। তাঁকে নিয়ে কী বলব, তাঁর মতো হেলপফুল কো-আর্টিস্ট দেশে খুব কমই আছেন। তিনি শুধু নিজের অভিনয়টুকু নিয়ে ভাবেন না, সহশিল্পীকেও সহযোগিতা করেন। তাঁর সঙ্গে থাকলে আসলেই অনেক কিছু শেখা যায়। বলা যায়, তিনি শিক্ষকের মতো। তো, ‘মির্জা’ নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। অনেক কাজই তো করলাম, তবে এখানে একটু ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।
হ্যাঁ, ঈদ এবার মায়ের সঙ্গে আমেরিকায় করব। দেশে ফিরব আগস্টের শেষদিকে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা আছে?
সে রকম প্ল্যান নেই। অভিনেত্রী হিসেবে আমি পৃথিবীর কোনায় কোনায় অভিনয় করতে চাই। যদি যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তাব পাই, করব; দেশেও ভালো কাজ পেলে করব। মোটকথা, টিপিক্যাল কাজ করতে চাই না। এবার একটু নিজেকে ভাঙতে চাই, একটু ভিন্নভাবে মেলে ধরতে চাই। নির্মাতারা যেন আমাকে নিয়ে ভাবেন। এই প্রশিক্ষণটা যেন কাজে লাগে। ওটিটি, চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। বাকিটা ইন্ডাস্ট্রির ওপর নির্ভর করছে, আমাকে কতখানি সুযোগ দেয়। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, আগের চেয়ে ম্যাচিওর কাজ করতে চাই। নিজেকে আরো বেটার জায়গায় আমি দেখতে চাই।
ঈদে নতুন আর কোনো কাজ আসবে?
যেহেতু আমি দেশে নেই, ঈদের জন্য কোনো কাজ করা হয়নি। তবে এখানে আসার আগে একটা বিজ্ঞাপনচিত্র করেছিলাম, সেটা হয়তো প্রচার হতে পারে মনে হয়।
দীর্ঘদিন পর আবার শুরু হচ্ছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। এই পঞ্চম সিজনে আপনি থাকছেন?
আমি আছি কি না, জানি না। তবে আমি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ টিমকে শুভকামনা জানাই। আগের সিজনগুলো থেকে এটা অনেক ভালো হোক।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি