বিশেষ প্রতিনিধি, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে না পারায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সংকটের মুখে দাঁড় করিয়েছে। নানা ইস্যুতে টানাপোড়েন, নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দূরত্ব বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এ অবস্থায় দ্রুত নির্বাচনের তাগাদা দিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপির এ তাগাদা আমলে না নিয়ে নিজেদের পূর্বের কথাই অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (২৮ মে) নির্বাচন ইস্যুতে আবারও পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এদিকে ঢাকায় বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ ভার্চুয়ালি বক্তব্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটাই শেষ কথা।
তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন।
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মনে হয় এরই ভেতরে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যত। জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কারও কারও মনে হয় ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি