মোঃ আবদুল ওয়াদুদ; চট্টগ্রাম: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র নেতা জাহাঙ্গীর আলম। যিনি বর্ষীয়ান বক্তা হিসেবেই এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় তিনি আন্দোলন- সংগ্রামে মাঠ কাঁপিয়েছেন। এজন্য রক্তাক্ত হয়েছেন বহুবার। ষড়যন্ত্রমূলক মামলাও হয়েছে কয়েক ডজন। দলের উপজেলা পর্যায়ে তাঁর পক্ষে বিশাল একটি জন সমর্থনও তৈরী হয়েছে। এবার তাকে উপজেলার সাধারণ সম্পাদক করার জন্য অনেকেই চাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও একাধিক নেতা-কর্মী তাকে সাধারণ সম্পাদক করার জন্য কেন্দ্রীয় এবং জেলার নেতাদের কাছে জোরালো দাবী তুলেছেন।
সরজমিনে জানাগেছে, নোয়াখালীর ভিআইপি উপজেলা কোম্পানীগঞ্জে জাহাঙ্গীর আলম একজন নির্যাতিত নেতা হিসেবে কর্মীদের কাছে বেশ খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি বিগত আ’লীগ সরকারের আমলে বেশকিছু ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আসামী হয়েছিলেন। পুলিশের তাড়া খেয়ে একদিকে তিনি নিজ বাড়ীতে থাকতে পারেননি, আরেকদিকে মামলার ভারে ক্রান্ত হয়ে আদালতের বারান্দায় ছুটতে হয়েছে মাসের পর মাস। বসুরহাট পৌরসভার পলাতক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা একাধিকবার তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। ওই সময়গুলোতে গুরুতর আহত হয়েও অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে হামলা-মামলার যতই ভয় থাকুক; কোম্পানীগঞ্জে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীগুলোতে ঠিকই অংশ নিয়েছেন। একইভাবে যারা হামলা কিংবা মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের পাশেও ছিলেন তিনি।
তাদেরকে বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজনীতির কারণে তাকে অনেক কিছু হারাতে হয়েছে। কিন্তু সাহস নিয়ে কর্মীদের কখনো ছেড়ে যাননি। বরং তাদেরকে নিয়েই কঠিন সময়গুলো অতিক্রম করেছেন। এসব কারণে জাহাঙ্গীর আলমকে এবার উপজেলার সাধারণ সম্পাদক করার জন্য জোরালো দাবী উঠেছে। এরআগে উপজেলা পর্যায়ে তিনি ছাত্রদল, যুবদল এবং বিএনপি’র গুরুত্বপুর্ণ পদেও ছিলেন। ওই সময়গুলোতে তিনি সফলভাবে দায়িত্বও পালন করেছিলেন। বর্তমানে নিজ এলাকা চরকাঁকড়া ইউনিয়নের একটি হাইস্কুলের পরিচালনা কমিটি’র সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এখন উপজেলা বিএনপি’র কমিটি গঠনের তোড়জোড় চলছে। ওই কমিটিতে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক করার দাবিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে লেখালেখি করছেন।
দলীয় সূত্রে জানাগেছে, বসুরহাট পৌরসভা এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জাহাঙ্গীর আলমকেই সাধারণ সম্পাদক করার বিষয়ে একযোগে দাবি তুলছেন। দলের বৃহৎ একটি অংশ মনে করেন, জাহাঙ্গীর আলম সাধারণ সম্পাদক হওয়ার অনেকগুলো যোগ্যতা রয়েছে। ওই হিসেবে তাকে দল মূল্যায়ন করলে দলের অবস্থান আগের যে কোন সময়ের তুলনায় চাঙ্গা হবে। তার পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলমকে অবশ্যই সাধারণ সম্পাদক করতে হবে। অন্যথায় দলের মধ্যে ভাঙ্গন ধরবে; কর্মীরাও চরম হতাশ হবে। আশাকরি কেন্দ্রীয় এবং জেলার নেতারা তাকে ওই পদেই স্থান দিবেন। বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম এই প্রতিনিধিকে বলেন, বিগত সময়ে আন্দোলন- সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তবুও দলের পাশে ছিলাম; মাঠ ছেড়ে কোথাও যাইনি। সবকিছু মিলিয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। আমি দায়িত্ব পেলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মাঠে সর্বাত্বক কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি