মোঃ আনোয়ার হোসেন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত ৭ জুনের পর থেকে অর্থাৎ ঈদের পর থেকে আজ ১৩ জুন দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঈদের কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র বিশেষ করে সবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি কিছু পণ্য সরবরাহে ঘারতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সবজি ও মাছের বাজার ঈদের কারণে হুট করে দাম বাড়তে দেখা যায়। সবজি ছাড়া প্রায় সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামে, শুক্রবার (১৩ জুন) সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সদর বাজারে এখন পছন্দ মত সবজি ও মাছের দেখা মিলছে না। যা আছে তার দাম বেড়েছে ঈদের আগের পটল, ঢেড়স ও ঝিঙ্গা ইত্যাদি সবজি প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ছিল, সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা । এ ছাড়া কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন প্রভৃতি ঈদের আগে বিক্রিহত ৬০-৭০ টাকার মধ্যে ছিল , বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কাঁচা মরিচের ঝাঁজ একটু বেড়েছে, আগে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৭৫- ৮০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। অবশ্য মুরগির দাম একটু কমেছে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকায়। একজন মুরগি বিক্রেতা জানান- “ব্রয়লারের চাহিদা এখন বেশি। অনেকে কিনে ফ্রিজে রেখে দিচ্ছেন। তবে এ দাম আরো কয়েক দিন চলবে”। মুরগির দাম কম কমলেও ডিমের দাম সামান্য বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে- প্রতি ডজন ১৩৫-১৪৫ টাকায়। বাজারের একজন পাইকারি ডিম বিক্রেতা বলেন-“বর্ষার এই মৌসুমে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরো বেশি থাকত”। নবীনগর বাজারে ঈদের পর কয়েক দিন গরুর মাংসের দেখা মিলে নাই। এখন দেখা মিলছে তবে বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে ঈদের কারণে মাছ সরবরাহ কম, তবে মাছের দাম বেড়েছে। আজকে বাজারে- প্রতি কেজি রুই মাছ (মাঝারী সাইজ) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০–৪০০ টাকায়, কাতল ৩৬০–৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০–৪০০ টাকা, চিংড়ি ৮৫০–৯০০ টাকা, টেংরা ৬০০–৭০০ টাকা, শিং ৩০০–৩৫০ টাকা, কৈ ২৫০–২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০–২৪০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি শিং ও কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায়। তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন- ঈদকে কেন্দ্র করে সকল সবজি, মাছেরসহ কিছু পন্যে দাম বাড়ছে। যথাযত কর্তৃপক্ষ বাজারে নজরদারি না বাড়ালে এর প্রভাব পড়বে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর।
আলোকিত প্রতিদিন/১৪জুন ২০২৫/মওম