
একদিন সুযোগ পেয়ে ভুক্তভোগী সেই নারী প্রতারকের আস্তানা থেকে পালাইতে সক্ষম হয়, ঘর থেকে বেরিয়ে আজমপুর চলে আসে এবং তার স্বামীকে ফোন দেয়, কান্নাকাটি করে তাকে উদ্ধার করার জন্য বলে, ভুক্তভোগির স্বামী তাৎক্ষণিক একজন সাংবাদিককে সাথে নিয়ে চলে যায় উত্তরা আজমপুর, উত্তরা আজমপুর গিয়ে তার স্ত্রীকে বীভৎস অবস্থায় পায়, সাংবাদিক পাওয়া মাত্র মুহূর্তের মধ্যে মোবাইলে তার ঘটনাটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ভিডিও করে রাখেন, এরপর সাথে সাথে ঢুকে আজমপুর বাস স্ট্যান্ডের সাথেই উত্তরা থানায় যায়, সেখানে ওসি সাহেবকে সবকিছু জানায় তিনি, ওসি সাহেব পরিপূর্ণ ঘটনা শুনেন লিখে রাখেন, যেহেতু ঘটনাস্থল দক্ষিণখান থানায় , তাই উত্তরা থানার ওসি সাহেব দক্ষিণ খান থানায় যোগাযোগ করতে বলেন, এবং উনি এও বলে দেন, সম্ভবত মামলাটি দারুস সালাম থানাতে হবে, যেহেতু দারুস সালাম থানা থেকেই ভুক্তভোগী প্রতারণা শিকার, ভুক্তভোগী ওই অবস্থাতেই চলে যান দক্ষিণখান থানায়, দক্ষিনখান থানার ওসি সাহেব দেখা মাত্র ভুক্তভোগির সকল অভিযোগ লিখে রাখেন , এবং বলেন আপনারা আপনাদের দারুস সালাম থানায় যান সেখানে গিয়ে মামলা দায়ের করেন এবং হাসপাতালে রিপোর্ট সংগ্রহ করেন অতি দ্রুত, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব আপনাদেরকে, ভুক্তভোগীকে আশ্বস্ত করে দারুস সালাম থানায় পাঠিয়ে দেন, সাথে সাথে রওনা হয়ে যায় ভুক্তভোগী দারুস সালাম থানায়, যেটা তার নিজ এলাকা, এই থানায় প্রবেশ করে ডিউটি অফিসারের নিকট ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী, ঘটনা শুনে উনি বলেন, এটাতো মামলা অবশ্যই হবে, তবে ওসি স্যার এখন নেই, স্যার আসুক, কিছুক্ষণ পর ওসি সাহেব থানায় প্রবেশ করে ভুক্তভোগীকে দেখা মাত্রই চটে যান, এবং বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকেন, ভুক্তভুগিকে ধমকিয়ে অভিযোগ পাল্টাতে বলেন, সেকেন্ড অফিসারকে ডেকে বলেন, অভিযোগ লিখে দক্ষিণ খান থানায় পাঠিয়ে দিন সেখানেই মামলা হবে, আর ভুক্তভোগী এভাবেই ঘুরতে থাকে থানার বারান্দায় বারান্দায়, আজও কি ধর্ষণের স্বীকার এই নারী সুষ্ঠ বিচার পাবে।