অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান মিলে শপিংয়ে গেছেন, সঙ্গে ছিল আব্রাহাম খান জয়। এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বুবলী নতুন করে জানান দেন তিনিও কম নন। ছেলে বীর ও বাবা শাকিবের সঙ্গে অনেকগুলো ছবি ফেসবুকে আপলোড দেন তিনি।
গতকাল ছিল বাবা দিবস। বিশেষ এই দিনটিকে উদযাপনে ঢালিউড নায়িকা অপু বিশ্বাস তার সন্তান ও সন্তানের বাবা শাকিব খানের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। বরাবরের মতো এবারও অপুর পর শাকিব ও নিজের ছেলেকে নিয়ে পোস্ট করেন বুবলী।
বিষয়টি অপু বুবলীর পোস্টেও মন্তব্য করে জানান অনেকে। আর এসব মন্তব্য নজর এড়ায়নি অপুর। দিনশেষে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি কোনো প্রতিযোগিতায় নেই। সন্তান, শাকিব খান ও বুবলী, ত্রিমুখী এই বিষয়গুলো যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠছে অপুর জীবনে।
তবে অপু আসলেই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, আর বুবলীও চুপ করে থাকবেন-এমনটা কী হয়? সময় বলে দেবে। তবে দুইজনের প্রতিযোগিতা যেভাবেই চলুক না কেন, দুজন যতই কাছের প্রমাণ করার চেষ্টা করুক না কেন। শাকিব খানের সঙ্গে এই দুজনের মানসিক দুরত্ব অনেক দূরে। সূত্র বলছে, অপু বিশ্বাসকে যে কারণে শাকিব খান ছেড়েছেন, একই কারণে ছেড়েছেন বুবলীকেও।
দুজনই স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রকাশ্যে আসতে চেয়েছেন, কিন্তু শাকিব খান এটা চাননি। অপু বিশ্বাস টিভি লাইভে সন্তানসহ এসে জানান দিয়েছেন। ঠিক একই পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন বুবলীও। লিডার আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একটি গানের শুটিং বাকি ছিল। সেখানেই ঝামেলা বাধে। রাতভর মিটিং করে শাকিব মেনে নিতে বাধ্য হন, এবং পরেরদিন দিন শেহজাদ খান বীরকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। বুবলীর সঙ্গে দূরত্বের শুরু এখান থেকেই শুরু।
তাঁর মানে অপু-বুবলীর লড়াই হলেও এই দুজনের কেউই শাকিব খানের নিকটস্থ বা শাকিব এদের কাউকে নিয়েই সংসারী হতে চান না- এটা বরাবরই শাকিব খান বলেছেন। এবারও সূত্রটি এমনটাই জানালো।
এদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেও বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যায়। কেননা শাকিবের চিন্তা ভিন্ন কোনো নারীকে বিয়ে করে থিতু হওয়া। ওই সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন শাকিব। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শোনা যাচ্ছে আবার নাকি বিয়ে করবেন, তাও আবার সম্বন্ধ করে, পাত্রী নাকি চিকিৎসক! সত্যিই কি ফের সংসারী হবেন?
উত্তরে শাকিব বলেন, ‘মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে চায়। দেখা যাক, কোনো তাড়াহুড়ো নেই যে নির্দিষ্ট কোনো বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিকভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মায়ের যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সংসারী দেখতে চান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি