আলোকিত ডেস্ক, কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলী ওরফে ফজরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার অপরাধে চারজনকে আরো গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি এখনো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ জুন আনুমানিক রাত ৮টায় মুরাদনগর থানাধীন রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে ফজর আলী ওরফে ফজর একই গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন।
পরবর্তীতে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করে। ভিকটিমের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।
তাছাড়া ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত চার জনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী (৩৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকালে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। তিনি দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। অভিযুক্ত ফজর আলী বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি