স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, প্রয়াত সাবেক সফল আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের একান্ত বিশ্বস্থ ছিলেন এই আবদুল মতিন লিটন। তিনি জীবিত থাকাকালীন সময়ে এলাকায় দলকে সু-সংগঠিত করার জন্য অনেকগুলো সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ওই দায়িত্ব পালনে তিনি সফলও হয়েছিলেন। এজন্য উপজেলা, জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা তাঁকে ম্যাজিকের মতই হৃদয়ে স্থান করে নেন। সিনিয়র নেতাদের সেই মর্যাদা ধরে রাখার জন্য বিগত সময়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মতে মাঠে কাজও করেছেন আবদুল মতিন লিটন। ফলে পৌর এলাকার নেতা-কর্মীদের কাছে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে দ্রুত খ্যাতি পান তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, বিগত ১৭ বছরে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁর উপর আ’লীগ কর্তৃক ষড়যন্ত্রমুলক মামলা হয়েছে অন্তত ৩২টি। হামলাও হয়েছে বেশ কয়েকবার। এরআগে ১/১১ এর সময় বসুরহাটে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর তাঁকে প্রচন্ড নির্যাতন করা হয়েছিল। কারাগারেও ছিলেন। জামিনের পর অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা নিতে হয়েছিল অনেক মাস। এখনো সেই নির্যাতনের স্মৃতি এবং যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এই ধরণের দমন পীড়নের পরেও নেতা-কর্মীদের ছেড়ে যাননি তিনি। বরং শক্ত হাতে দলের হাল ধরে রেখেছেন। এজন্য দলের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও এলাকার অনেকেই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে চায় তাঁকে। যে ক’জন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর তালিকায় নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে শীর্ষে আছেন আবদুল মতিন লিটন।
ওদিকে, শুধু বসুরহাট পৌরসভা নয়; পুরো উপজেলায় বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনকে আরো মজবুত করার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সর্বদা। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেকগুলো জনকল্যাণমুলক আয়োজনেও তাঁর সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। পৌরসভার অবহেলিত মানুষ গুলোকে যে কোন বিপদে শান্তনা দিচ্ছেন। আবার সহযোগিতারও হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য, বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, সিরাজপুর পিএল একাডেমী হাইস্কুল এবং শাহাজাদপুর হাইস্কুলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রোববার রাতে ঢাকার জাতীয় দৈনিক ‘আলোকিত প্রতিদিন’ পত্রিকার এই প্রতিনিধিকে আবদুল মতিন লিটন বলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলে শাসক নয়; জনগণের সেবক হয়ে কাজ করবো। মানুষের সুখে-দুঃখে আছি এবং থাকবো। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো- ইনশাআল্লাহ।