ধর্ম ডেস্ক, ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় মাস হিসেবে বিবেচিত মহররম মাস। পবিত্র কুরআনে চারটি মাসকে ফজিলতপূর্ণের মধ্যে অন্যতম বলা হয়েছে। আবার হাদিসে মহররম মাসকে মহান আল্লাহ তাআলার বলে ঘোষণা দিয়ে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এ মাসে বিশেষ কিছু ইবাদতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ইসলাম। ফজিলতপূর্ণ এ মাসের বিভিন্ন নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ইবাদত সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক তাহলে।
নফল রোজা রাখা: মহররম মাসের অন্যতম আমলগুলোর একটি নফল রোজা রাখা ধরকার। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এ মাসের নফল রোজাকে সর্বোত্তম ঘোষণা করেছেন। একটি হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজানের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে মহান আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। (মুসলিম, হাদিস: ২,৬৪৫)
আশুরার রোজা রাখা: মহররম মাসের বিশেষ ফজিলতপূর্ণ দিন হচ্ছে দশম দিন, অর্থাৎ আশুরা। শরিয়তের দৃষ্টি অনুযায়ী, আশুরার রোজা রাখা মুস্তাহাব আমল। এ ব্যাপারে আবু কাতাদা (রা.) বর্ণনায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি হাদিসে আছে, ‘আশুরার এক দিনের রোজার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আমি এ আশা করি যে, তিনি এ রোজার ওসিলায় বান্দার আগের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম, হাদিস: ১,১৬২)
উল্লেখ্য, আশুরার রোজা দুটি, ৯ ও ১০ তারিখ বা ১০ ও ১১ তারিখ। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো আলেম বর্ণিত সব হাদিসের ওপর আমলের সুবিধার্থে ৯, ১০ ও ১১-এ তিনদিন রোজা রাখার কথাও বলা হয়েছে।
তওবা-ইস্তিগফার পাঠ করা: মহররম মাসে নফল রোজা রাখার পাশাপাশি এ মাসের বিশেষ আমল হচ্ছে তওবা-ইস্তিগফার পাঠ করা। কারণ, বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, মহররম মাস আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন মহান আল্লাহ তাআলা একটি সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছেন। (আশা করা যায়) সেদিন অন্যান্য সম্প্রদায়ের তওবাও কবুল করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৭৪১)
এ জন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার আশায় পবিত্র মহররম মাসে বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার করা উচিত।
বিধর্মীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করা: ইসলামের ফজিলতপূর্ণ মহররম মাসের দশম দিবসে রোজা রাখত ইহুদিরা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন (মহররমের দশম দিবস) রোজা রাখো এবং তাতে ইহুদিদের বিরুদ্ধাচরণ করো। আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখো।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২,১৫৪)।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি