কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কি সিকদারই হচ্ছেন!

0
25

মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কি নুরুল আলম সিকদারই হচ্ছেন? বর্তমানে এমন জল্পনা-কল্পনা চলছে রাজনীতির মাঠে। আলোচনার ঝড় যেন থামছেই না কোথাও। দলীয় নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে একটি দাবি-সিকদারকে এবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি দেখতে চাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর অনুসারীরা ওই দাবি জানিয়ে লেখালেখিও করছেন। কারণ; রাজনীতিতে এখনো মাঠ কাঁপাচ্ছেন আলোচিত ওই নেতা। অনেকেই বলছেন-নিন্দুকেরা যাই বলুক, উপজেলা বিএনপি’র অভিভাবক এই নেতাই হচ্ছেন। দীর্ঘ ৩৭ বছরের রাজনীতিতে মেধা, শ্রম, ত্যাগ, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা বিবেচনায় তাঁর অবস্থান তুঙ্গে। সুতরাং তাঁর বিকল্প এখানে অন্য কেউ নেই। এমনটাই উপজেলার দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থক এবং হাট- বাজারের সাধারণ লোকজন মন্তব্য করছেন।

স্থানীয় দলীয় সূত্রে জানাগেছে, নুরুল আলম সিকদার বর্তমানে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি’র সদস্য। এরআগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র  আহবায়ক ছিলেন। গুঞ্জন রয়েছে কিছু দিনের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা হতে পারে। এতে পদ-পদবী পেতে আগ্রহীরা জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। সহানুভুতি কামনা করছেন। সিকদার এক সময় ছাত্র জীবনে তুখোড় প্রভাবশালী ছাত্র নেতা ছিলেন। বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ শাখার ছাত্রদলের সভাপতি এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে ফল স্বরুপ সরাসরি উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন দুইবার। এরপর সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন পর পর দুইবার।

অপরদিকে, অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন। উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বিগত ১৭ বছরে অর্ধশত মামলার আসামী হয়েছেন। জেলও খেটেছেন। এখনো ওই মামলা গুলোর কারণে আদালতের বারান্দায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয় তাকে। এছাড়াও অন্তত দশবার হামলারও শিকার হয়েছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন বেশ কয়েকবার। হাসপাতালে অনেকদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। তবুও দলীয় নেতা-কর্মীদের দোয়ায় সুস্থ হয়ে রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। দলের কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকল কর্মসূচিতেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বরাবরই। ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকার পতনের পর এখনো মাঠে-ময়দানে আছেন ত্যাগী এই সিকদার।  তিনি পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচিত।

বসুরহাটের সাবেক ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান বলেন, নুরুল আলম সিকদার অনেক বার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এরপরেও তাঁকে রাজনীতি থেকে কেউ আলাদা করতে পারেননি। এজন্য দলের জেলা আহবায়ক কমিটি’র সদস্য মনোনীত হয়েছেন। দলের বিশ^স্থ এবং মৃত্যুঞ্জয়ী এই নেতাকে এবার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে আমরা দেখতে চাই। কারণ; তাঁর হাতে উপজেলা বিএনপি নিরাপদ থাকবে। তিনি দায়িত্ব পেলে দল আরো এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। উপজেলা বিএনপি’র সাবেক নেতা জামাল উদ্দিন বলেন, সিকদার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হলে দলের অবস্থান আগের তুলনায় মজবুত হবে। ফ্যাসিস্টরা দলে ঢুকতে পারবেনা। জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা এই বিষয়ে সুনজর দেওয়া জরুরী।

নুরুল আলম শিকদার বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘আলোকিত প্রতিদিন’ পত্রিকার এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার সৈনিক হিসেবে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য রাজনীতি করছি। আমি উপজেলা নেতৃবৃন্দের পাশে যে কোন পরিস্থিতে আগেও ছিলাম, সামনেও থাকবো। মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমি কারও ক্ষতি করিনি; বরং অসহায় মানুষদের কল্যাণে কাজ করেছি। মহান আল্লাহর দয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হলে দলকে অবশ্যই আরো সুসংগঠিত এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিলেমিশে কাজ করবো।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here