বিনোদন ডেস্ক, শিশুশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। শুরুতেই গগনচুম্বী সাফল্য। ২০০২ সালে ‘মকড়ি’ চলচ্চিত্রে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
‘মকড়ি’র পর ‘ইকবাল’ (২০০৫) চলচ্চিত্রে খাদিজার ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন অভিনেত্রী। কিন্তু তারপরই যেন হারিয়ে যান তিনি।
পুলিশের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, শ্বেতা বসু প্রসাদ অর্থের বিনিময়ে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন। হোটেল থেকে আটক করার পর, তাকে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
তবে অভিনেত্রীর নিজের কথাতেই বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একবার সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি নন, বলিউডের অনেক নায়িকাকেই জীবনের কোনও না কোনও পর্যায়ে এই ধরনের কাজ করতে হয় বলে তিনি জানান। ক্যারিয়ার বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এসব করেন তারা তিনি বলেন।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে, হায়দরাবাদের একটি নিম্ন আদালত শ্বেতাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। আদালত জানায়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত শ্বেতা বসু প্রসাদ আবার অভিনয় জীবনে ফিরে এসেছেন।
‘দ্য তাশখন্দ ফাইলস’ (২০১৯), ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (২০২২) এর মতো সফল ছবিতে যেমন দেখা গেছে তাকে, তেমনই কাজ করেছেন জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস’-এও।
চতুর্থ সিজনেও পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। বাংলা ছবি ‘এক নদীর গল্প’তে মিঠুন চক্রবর্তী ও যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি