এসএসসির ফলাফলে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭০.৭৬%

0
70
এসএসসির ফলাফলে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭০.৭৬%
এসএসসির ফলাফলে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭০.৭৬%
আবু সায়েমঃ
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার  ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কক্সবাজার জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর পাসের হার কমেছে ১২.৮৮ শতাংশ  এবং জিপিএ-৫ কমেছে ১১১ জন। জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে  ২০ হাজার ২৫৫ জন শিক্ষার্থী এবং পাশ করেছে  ১৪ হাজার ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ছিল ৭০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১৯০ জন।এবার পাশের হারে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং জিপিএ-৫  পাওয়ায় কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষে রয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, জেলায় ১১ হাজার ৮৩৩ জন মেয়ে পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ৮ হাজার ২৬৭ জন।পাশের হার ৭০.৪৩% এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬০২জন। গতবছর পাশের হার ছিল ৮৩.৬৩%। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৩৩ জন।
অন্যদিকে ৮ হাজার ৫৪৯ জন ছেলে পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজার ৬৬ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পাশের হার ৭১.২২% এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮৮জন। গতবছর পাশের হার ছিল ৮৩.৬৬%। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৬৮ জন।
তবে বরাবরের মতো এবছরও তিন বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফলাফল হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে। এ বিভাগে পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এবার মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে  ছেলেরা। জেলায় এবছর মোট ১১৯০ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তির মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগেই পেয়েছে ১১০৭ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ফলাফল হলো কক্সবাজার সরকারি বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৬৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৫৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩৩ জন। কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ২৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৩৪ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১২৫ জন। কক্সবাজার বায়তুশশরফ জব্বারিয়া একাডেমীতে ৪৪৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৯২ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৮ জন। কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলে ২৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২২০ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬ জন। পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় ১৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১৭ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ জন। সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬১ জন। জিপিএ – ৫  পেয়েছে ৯ জন।
সর্বাধিক জিপিএ পেয়েছে ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়  এবং পাসের হারে এগিয়ে ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।এবারে প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে  সর্বাধিক ১৪ জন  জিপিএ ৫ নিয়ে উপজেলার শীর্ষে রয়েছে  ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৮৮ জন,  পাস করেছে ২১৭ জন,  ফেল করেছে ৭১ জন,  পাসের হার ৭৫.৩৫ %।জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ জন, উপজেলায় দ্বিতীয়  সর্বাধিক ১১জন জিপিএ ৫ পেয়েছে ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন থেকে। এ বিদ্যালয় থেকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৮৭ জন,  পাস করেছে ২৩১ জন,  ফেল করেছে  ৫৬ জন এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ জন, পাসের হার ৮০.৪৯%।
পাসের হারের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭৭ জন,  পাস করেছে ৭০ জন,  ফেল করেছে ৭ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।  পাসের হার ৯০.৯১ %। ভারুয়াখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ১১৫ জন, পাস করেছে ৯১ জন,  ফেল করেছে ২৪ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে  ৪ জন।  পাসের হার ৭৯.১৩%।
পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৫৮ জন,  পাস করেছে ৩৭ জন, ফেল করেছে ২১ জন,  জিপিএ ৫ নাই। পাসের হার ৬৩.৭৯%। নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬১ জন, পাস করেছে ৪৪ জন, ফেল করেছে ১৭ জন। জিপিএ ৫ নাই। পাসের হার ৭৪.৫১%। চৌফলদন্ডী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে ৫১ জন, পাস করেছে ৩৮ জন, ফেল করেছে ১৩ জন,  জিপিএ ৫ নাই।  পাসের হার ৭৪.৫১%।
গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৪ জন,  পাস করেছে ৩১ জন, ফেল করেছে ১৩ জন,  জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।  পাসের হার ৭০.৪৫% এবং  দ্বীপশিখা একাডেমি থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭ জন,  পাস করেছে ১০ জন, ফেল করেছে ০৭ জন,  জিপিএ ৫ নাই।  পাসের হার ৫৮.৮২%।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রামু উপজেলায় ২৩টি উচ্চ বিদ্যালয় ১৮২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৪৬০ জন।রামু উপজেলায় জিপিএ পাশ পেয়েছে ১৪১জন। এ উপজেলায় পাশের হার ৭৯.৮৩ শতাংশ।
 রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলে  ৩৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাস করেছে।জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৪ জন । বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপীঠ ২২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সকলে পাস করেছে। রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে ৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬০ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২ জন। বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে৫৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৭ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২১ জন। এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন। রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ জন। ঈদগড় আমির উদ্দিন মোহাম্মদ বদিউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় ৯৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে তিনজন। জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৩১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৮ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন। এইচ ডি মডেল হাইস্কুলে ৩৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৫ জন। গর্জনীয় উচ্চ বিদ্যালয় ১১৬ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১০৪ জন। মনসুর আলী শিকদার আইডিয়াল স্কুলে ৮৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৭৬ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে দুজন। রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ১৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩৪ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ জন। আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১২৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০৭ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ জন। নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় ৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে চারজন। জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাচি উচ্চ বিদ্যালয় ৫১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন। পশ্চিম গোয়ালিয়া পালং ৭৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫২জন। আলফুয়াদ একাডেমিতে ১০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন। দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে  ৩৮ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে তিনজন। ধেছুয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৪ জন।জিপিএ পাস পেয়েছে একজন। কাউয়ারকোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮১ জনে পাস করেছে ৫২ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে পাঁচজন। জারাইলতলি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১৭ জনে পাস করেছে ৭৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে দুজন। কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১১৪ জনে পাস করেছে ৫৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন। সাইমম সারোয়ার কমল উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০ জন।
২০২৫ সালের এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সার্বিকভাবে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জিত হয়েছে। তিনটি মাধ্যমেই পাশের হার আশানুরূপ হলেও কিছু প্রতিষ্ঠানে আশঙ্কাজনকভাবে কম ফলাফল শিক্ষাবিদদের ভাবিয়ে তুলেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উখিয়া থেকে অংশ নিয়েছে মোট ২ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছে ১ হাজার ৯২২ জন। গড় পাশের হার ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ, যেখানে বোর্ডের গড় পাশের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ জন।
এসএসসিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, যেখানে ১১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১১৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২৯ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অংশ নিয়েছে ২৩৭ জন, পাশ করেছে ২০৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন। কুতুপালং, বালুখালী, আবুল কাশেম-নুর জাহান চৌধুরী, উখিয়া বালিকা, থাইংখালী এবং সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ের উপরে ফলাফল করলেও বেশ কয়েকটি স্কুলে পাশের হার অত্যন্ত কম। সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪০৬ জন পরীক্ষার্থী থেকে পাশ করেছে মাত্র ২৯৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। ডেইলপাড়া, জালিয়াপালং, রুমখাঁপালং, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীও জিপিএ-৫ পায়নি।
দাখিল পরীক্ষায় এবার অংশ নেয় ৬৬০ জন পরীক্ষার্থী, পাশ করেছে ৬১০ জন। গড় পাশের হার ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন। শতভাগ পাশ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হযরত আয়েশা (রা.) বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, রহমতের বিল, উম্মে সালমা (রা.), গয়ালমারা, ফারিরবিল মিনহাজুল কুরআন, রুমখাঁপালং ইসলামিয়া, পাগলিরবিল, সোনারপাড়া, হামিদিয়া দারুস সুন্নাহ, রাজাপালং এম ইউ ফাজিল এবং রাজাপালং বায়তুশ শরফ আদর্শ শাহ জব্বারিয়া বালিকা মাদ্রাসা। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকেই জিপিএ-৫ অর্জনে পিছিয়ে।
ভোকেশনাল শাখায় এবার অংশ নেয় ২১২ জন শিক্ষার্থী, পাশ করেছে ১৯১ জন। গড় পাশের হার ৯০ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এখানেও শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে—৫৫ জন অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন। আবুল কাশেম-নুর জাহান উচ্চ বিদ্যালয় এবং রুমখাঁপালং ইসলামিয়া মাদ্রাসাও ভালো ফলাফল করেছে। তবে নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ৫৯ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ৪২ জন, কারো জিপিএ-৫ নেই।
 চকরিয়া উপজেলায় চলতি বছরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ৫ হাজার ৩৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩ হাজার ৬৩৬ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ১৬৯৬ জন। উপজেলার পাশের হার ৬৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৩১২ জন শিক্ষার্থী। প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে সর্বোচ্চ ৮৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে বিদ্যালয়ের পাশের হার নিয়ে এ বছর উপজেলায় এগিয়ে রয়েছেন চকরিয়া গ্রামার স্কুল। বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৯ জন। বিদ্যালয়ের ২৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৪৮ জন, অকৃতকার্য ৬। পাশের হার ৯৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে সর্বোচ্চ ৮৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় ৩৭৬ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩৩৭ জন, অকৃতকার্য ৩৯জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯ জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮৯.৬৩ শতাংশ। এছাড়াও উপজেলায় পাশের হার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে চকরিয়া গ্রামার স্কুল। এ প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় ২৫৫ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৪৯জন, অকৃতকার্য ৬জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের পাশের হার ৯৭.৬৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ৩০৯ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৬৩জন, অকৃতকার্য ৪৬জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮জন শিক্ষার্থী। মেমোরিয়াল খ্রিস্টান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১৪৪ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১৩৯জন, অকৃতকার্য ৫ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩জন শিক্ষার্থী। কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন থেকে পরীক্ষায় ১৭৮ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১৫০জন, অকৃতকার্য ২৮জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩জন শিক্ষার্থী। চকরিয়া সরকারি বালিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১৮৬ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১৭১জন, অকৃতকার্য ১৫জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭জন শিক্ষার্থী। পূর্ব বড় ভেওলা জিএনএ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১৭৬ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১১৭জন, অকৃতকার্য ৫৯জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১জন শিক্ষার্থী। কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১৬৮ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১০৯জন, অকৃতকার্য ৫৯জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯জন শিক্ষার্থী। পহরচাঁদা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১৩৫ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৮৯ জন, অকৃতকার্য ৪৬জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন শিক্ষার্থী। বদরখালী কলোনিজেশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১৫৭ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১০২জন, অকৃতকার্য ৫৫ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন শিক্ষার্থী। খুটাখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ৯৪ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪৮জন, অকৃতকার্য ২৬ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১৬৮ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১০৯জন, অকৃতকার্য ৫৯জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৬৪.৮৮ শতাংশ। ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১২৫ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৮৪জন, অকৃতকার্য ৪১জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৬৭.২০ শতাংশ। সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল থেকে পরীক্ষায় ৫৯ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৫৬ জন, অকৃতকার্য ৩জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৯৪.৯২ শতাংশ। ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১৬৪ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৯৫ জন, অকৃতকার্য ৬৯ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৫৭.৯৩ শতাংশ। বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় ১১৩শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৭০জন, অকৃতকার্য ৪৩জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৬১.৯৫ শতাংশ। এছাড়াও যে সব স্কুল থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে উত্তর বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, কৈয়ারবিল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২জন, চকরিয়া ক্যামব্রিয়ান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, শাক্যমুনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, কিশলয় আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১জন, মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন, মালুমঘাট আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১জন, পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১জন ও রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১জন শিক্ষার্থী জিপিএ পেয়েছে।
 পেকুয়া উপজেলায় ১২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪৪৯ শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৩জন। পাশের ৬৮.১২%। দাখিল পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫১১জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। মাদ্রাসার পাশের হার ৭৭.৮৯% জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৭জন। এস.এস.সির ফলাফলে টইটং ইক্বরা স্কুল এন্ড কলেজ ও দাখিলের ফলাফলে রাজাখালী বিআইইউ কামিল মাদ্রাসা শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। টইটং ইক্বরা স্কুল এন্ড কলেজ ২০২৫সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় ৮৮.১০% ও দাখিলের ফলাফলে রাজাখালী বেশারতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা৯১.২৫% ফলাফল অর্জন করে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থানে রয়েছে।
ফলাফল বিবরণীতে দেখা যায়,  এসএসসিতে ৪২জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ২জন জিপিএ ৫ সহ ৩৭ জন পাশ করে যা শতকরা ৮৮.১০%, শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় ১৭৯জন অংশ গ্রহণ করে ৩৩জন জিপিএ ৫ সহ ১৪৯জন পাশ করে শতকরা পাশের হার৮৩.২৪%, টইটং উচ্চ বিদ্যালয় ৯৬জন অংশ গ্রহণ করে ৭৮ জন পাশ করে জিপিএ ৫৮১.২৫% জিপিএ ৫ পেয়েছে ২জন, হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২৮জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে জিপিএ ৫ পায়নি। পাশের হার ৭৮.৫২%, পেকুয়া সরকারী মডেল জিএমসি ইনষ্টিটিউশন অংশ গ্রহণ ৩১২জন পাশ করে ২৩৬জন জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৭জন তাদের পাশের হার ৭৫.৬৪%, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহণ করে ১৪০জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে ২জন সহ পাশ করেছে ১০১ জন পাশের হার ৭২.১৪%, মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহন করে ১২২ জন পাশ করেছে ৮৫জন কোন জিপিএ ৫ পায়নি। পাশে হার ৬৯.৬৭%। উজানাটিয়া খাঁবাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহণ করে ৫১জন পাশ করেছে ৩২জন জিপিএ নেই। পাশের হার ৬২.৭৫%। বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহণ করেছে ৭৮জন পাশ করেছে ৪৮জন, জিপিএ ৫ ১জন সহ পাশের হার ৬১.৫৪%। রাজাখালী ফৈয়জুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজ অংশ গ্রহণ করে ১১৩জন পাশ করেছে ৬৩জন জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫জন তাদের পাশের হার ৫৫.৭৫%। মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় ৯৭জনে পাশ করেছে ৪৯জন জিপিএ ৫ কেউ পায়নি। পাশের হার ৫০.৫২%। রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহণ করে ১৯১জন পাশ করেছে ৮৭জন জিপিএ ৫ পেয়েছে ১জন পাশের হার ৪৫.৫৫%।
দাখিল পরীক্ষায় রাজাখালী বি.আই ইউ কামিল মাদ্রাসার ৮০জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ৭৩জন পাশ সহ ১৫জন জিপিএ ৫ পেয়েছে তাদের পাশের হার ৯১.২৫%। ফাসিয়াখালী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ৫৭জন অংশ গ্রহণ করে ৫০জন পাশ সহ ১জন জিপিএ ৫ পেয়েছে তাদরে পাশের হার ৮৭.৭২%। পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার ৭৯ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ৬১জন পাশ সহ জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯জন তাদের পাশের হার ৭৭.২২%। মৌলভী বাজার ফারুকিয়া আলিম মাদ্রাসার ৪৮জন অংশ গ্রহণ করে ৩৭জন পাশ সহ জিপিএ ৫ পেয়েছে ১জন তাদের পাশের হার ৭৭.০৮%। মগনামা মাঝির পাড়া শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার ৪৭জন অংশ গ্রহণ করে ৩৫জন পাশ করেছে পাশের হার ৭৪.৪৭%। উজানটিয়া এএস আলিম মাদ্রাসার ৫০জন অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৬জন জিপিএ ৫ পেয়েছে ১জন। পাশের হার ৭২%।বটতলী শফিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭২জন অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৫৩জন পাশের হার ৭৩.৬১%। রাজাখালী সুন্দরী পাড়া আজগরিয়া মেহেরুল উলুম মাদ্রাসার ২৬জন অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১৬জন পাশের হার ৬১.৫৪%।মেহেরনামা আলমাছিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩১জন অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ২২জন পাসের হার ৭০.৯৭%। পেকুয়া আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ২১জন অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১৫জন পাশের হার ৭১.৪৩%।
মহেশখালী উপজেলার উত্তর নালবিলা মোহাম্মদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ জন। যার মধ্যে ৮ জনই অকৃতকার্য হয়েছে। পাশ করতে পারেনি একজনও।
অন্যদিকে মাতারবাড়ি আদর্শ পাবলিক জুনিয়র স্কুলে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৮ জন। যেখানে পাশ করেছে শুধুমাত্র ১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে বাকি ২৭ জন। ওই স্কুলের পাশের হার ৩.৫৭ শতাংশ।
মহেশখালী উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৯৯ জন। যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ১৬১ জন,অনুত্তীর্ণ ১ হাজার ১৩৮ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৯ জন। উপজেলায় পাশের হার ৭২.৮৪ শতাংশ। উপজেলায় পাশের হার ৬৮ শতাংশ।
টেকনাফ উপজেলায় এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭১১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে টেকনাফ উপজেলায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৮ জন।টেকনাফে পাশের হারে বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এবংজিপিএ-তে সেরা হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়।
কুতুব‌দিয়ায় এসএস‌সি ও দা‌খিলের ফলাফলে পাশের হারে স্কুল-মাদরাসা সমানে সমান। এসএস‌সিতে গড়ে পাশের হার ৭৩.৪৫ ও দা‌খিলে গড় ৭৩.০২ ভাগ।
সর্বোচ্চ পাশের হার  আল ফারুক দা‌খিল মাদরাসা। পরীক্ষায় ৪৩ জন অংশ নিয়ে ৬ জন জি‌পিএ-৫ সহ পাশ করেছে ৩৯ জন। পাশের হার উপজেলার সর্বোচ্চ ৯৫.১২।
এসএস‌সিতে শীর্ষে রয়েছে  কুতুব‌দিয়া সরকা‌রি বা‌লিকা উচ্চ বিদ‌্যালয়। ৮০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৯জন জি‌পিএ-৫সহ পাশ করেছে ৭৩ জন। পাশের হার ৯১.২৫।
 দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বরাবর ভাল ফলাফল করা ঐ‌তিহ‌্যবা‌হি কুতুব‌দিয়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ। ৩২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৮৭জন। জি‌পিএ-৫ পয়েছে ২৮ জন। পাশের হার ৮৮.৮৮।
অপর দিকে  পাশের হারে সমান ৯‌টি স্কুল ও ৯‌টি মাদরাসার ফলাফল। উপজেলায় এসএস‌সিতে গড় পাশের হার ৭৩.৪৫ ভাগ। জি‌পিএ ৫ পেয়েছে ৬১ জন ও দা‌খিলে গড় পাশের হার ৭৩.০২ ভাগ। জি‌পিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন শিক্ষার্থী।
আলোকিত প্রতিদিন/১১জুলাই ২০২৫/মওম 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here