নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী সদর উপজেলার খলিফার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ও অনৈতিক কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। গত ৭ জুলাই নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর সংক্ষুব্ধ ১৫ জন অভিভাবকদের গণস্বাক্ষর দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী খলিফার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত স্থানীয় গণিত শিক্ষক আবদুল বাতেন শ্রেণী কক্ষে নিয়মিত পাঠদান না করে ছাত্র /ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে চাপ প্রয়োগ করেন। যারা তার কাছে প্রাইভেট পড়ে না তাদের তিনি পরিক্ষার খাতায় নম্বর কমিয়ে দেন।
এছাড়াও নানাবিধ মানষিক নির্যাতন করে বাধ্য করেন প্রাইভেট পড়তে। জানা যায়, এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও বিপর্যয় ঘটেছে এই বিদ্যালয়টির। মোট ১১৪জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৬জন। পাশের হার ৪০.৩৫% ভাগ। ফলাফল বিপর্যয়ের পর হতে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাদের দাবী, কোচিং-এ গাদি গাদি টাকা খরচের পরও তাদের সন্তানরা পাশ করতে পারেনি।
অভিভাবকদের একাংশসহ স্থানীয় যুবক আবদুর রহমান গণিত শিক্ষক আবদুল বাতেনসহ কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল বাতেনের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে যোগাযোগে, জোর জবরদস্তি করে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর বলেন, বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সম্মতিতে প্রাইভেট পড়াই। আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্য স্থানীয় যুবক আবদুর রহমানসহ একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জালবিস্তার করছে। অপর এক প্রশ্নে জানান, প্রাইভেট পড়ানো অনৈতিক হলেও অন্যান্যরা বন্ধ করলে তিনিও বন্ধ করবেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো: জাহাঙ্গীর জানান, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। সদর উপজেলার মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে প্রধান করে সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। শুনেছি ২০জুলাই তাদের কাজ শুরু করবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬জুলাই ২০২৫/মওম