আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৩১ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল: মির্জা আব্বাস!

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

আলোকিত ডেস্ক, অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘এক দলকে কোলে করে রাখবেন, আরেক দলকে কাঁধে রাখবেন- বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রোগ্রাম (কর্মসূচি) করবেন না। আমরা সহযোগিতা করছি, দ্রুত নির্বাচন দিন। দেশে শান্তি ফিরে আসবে। না দিলে আমরা ভাবব, দেশকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া আপনারাই করছেন দীর্ঘদিন ধরে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মৌন মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে এ মৌন মিছিলের আয়োজ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

 

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহিদদের জন্য মাঝে মাঝে আমার খুব আফসোস হয়, আমার খুব কষ্ট হয়। আমিও আন্দোলনের মাঠে ছিলাম, গুলির মুখেই ছিলাম, এই মঞ্চেই ছিলাম। আমার মনে হচ্ছে আমার যে ভাইগুলো শাহাদাত বরণ করেছেন তারা যদি আজ কেউ একজন বেঁচে থাকতেন কিংবা তারা যদি বুঝতে পারতেন যে তাদের শাহাদাতবরণকে নিয়ে, তাদের লাশ নিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে যেভাবে আজকে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে, রাজনৈতিক ব্যবসা চলছে, তারা লজ্জা পেতেন। তারা দেখতে পেতেন, তারা যে কারণে জান দিয়েছিলেন সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে না এখনো।

তিনি বলেন, ‘আমরা সংগ্রাম করেছি, যুদ্ধ করেছি, জেলে গিয়েছি, কিন্তু সেগুলোর প্রতিদান নেই, আমরা চাইও না। আজকে তাদেরকে ভিত্তি করে একটি দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।’

- Advertisement -

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ফয়জুল করীমের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একজন তথাকথিত পীর সাহেব বলেছেন, জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে সেই জায়গায় পচে যাবে। মনে আছে কি আপনাদের কথাটা? তিনি আজ জামায়াতের কোলে উঠে বসেছেন। আবার যেই জামায়াতের নেতারা একসময় বিএনপির কাঁধে পারা দিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন, একসময় আওয়ামী লীগের কাঁধে পারা দিয়েও তারা মন্ত্রী হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে তারা দালালি করেছে, তাদের বিক্রি করছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি ভাইদের বলব, দয়া করে জিহ্বায় একটু লাগাম দিন। আপনাদের ভালো হবে, আমাদের ভালো হবে। এমন বাজে কথা বলবেন না যা মানুষের রক্তে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। বিএনপি ঝগড়ার দল নয়, বিএনপি গণতন্ত্রকামী দল, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করে।’

আজ বিকেল ৫টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মৌন মিছিল শুরু হয়। কাকরাইল মোড়, মৌচাক হয়ে রামপুরার আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হক মজনুর সভাপতিত্বে, সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী সপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

- Advertisement -
- Advertisement -